খুলনার জিরো পয়েন্ট সাড়ে তিন ঘণ্টা অবরোধ কোটা আন্দোলনকারীদের

Selim Selim

Reja Sobuj

প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৪

খুলনা শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকার চারটি সড়ক বন্ধ করে এ কর্মসূচি শুরু করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাঁরা এলাকাটি অবরোধ করে রাখেন।

পরে অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন খুলনার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। জিরো পয়েন্ট অবরোধের ফলে সাতক্ষীরা, যশোর, ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

কর্মসূচি চলাকালে ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘আমাদের ধমনিতে শহীদের রক্ত, সেই রক্ত কোনো দিনও বৃথা যেতে দেব না’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।ফলো করুন

খুলনা শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা

খুলনা শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরাছবি: সংগৃহীত

খুলনা শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকার চারটি সড়ক বন্ধ করে এ কর্মসূচি শুরু করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাঁরা এলাকাটি অবরোধ করে রাখেন।

 

পরে অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন খুলনার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। জিরো পয়েন্ট অবরোধের ফলে সাতক্ষীরা, যশোর, ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

 

কর্মসূচি চলাকালে ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘আমাদের ধমনিতে শহীদের রক্ত, সেই রক্ত কোনো দিনও বৃথা যেতে দেব না’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

জিরো পয়েন্ট এলাকাটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত। ঢাকা, সাতক্ষীরা, যশোরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চারটি সড়ক এসে মিলিত হয়েছে সেখানে। খুলনা নগরে প্রবেশের অন্যতম পথও সেটি। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে চারটি সড়কেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় চারপাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।

 

এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আবাসিক হলগুলো। বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে ছেলেদের হল ছাড়তে হবে। আর আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে হল ছাড়তে হবে মেয়েদের। বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে জরুরি সিন্ডিকেট সভা বসে।

 

 

এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আবাসিক হলগুলো। বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে ছেলেদের হল ছাড়তে হবে। আর আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে হল ছাড়তে হবে মেয়েদের। বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে জরুরি সিন্ডিকেট সভা বসে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে পাঠানো চিঠির আলোকে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আমরা হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছি।’তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ছাড়ার নির্দেশনার পরও বিকেল ৪টা পর্যন্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বিকেল ৪টার দিকে জিরো পয়েন্টের অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে সব শিক্ষার্থী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়েবানা জানাজা পড়তে যান। জানাজা শেষে সে দিনের মতো কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।

আপনার মতামত দিন :