পিপিইর দাবিতে কর্মবিরতিতে খুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২০

দুইজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর (পিপিই) দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

আজ রোববার (২২ মার্চ) খুলনা মেডিকেলের ইচিপ সভাপতি ডা. মো. রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক ডা. হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘গোটা বিশ্বজুড়ে নোভেল করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশেও প্রাণঘাতি এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে এবং মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এমন পরিস্থিতেও খুলনা মেডিকেলের ইর্ন্টান চিকিৎসকরা কোনো ধরনের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) ছাড়াই সেবা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গত দুই দিনে কুমেকের কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের দেহে কোভিড-১৯ এর মতো উপসর্গ দেখা দেওয়ায় অন্যান্য চিকিৎসকদের মধ্যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অবস্থায় সকল চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষায় পিপিই ছাড়া চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ না করা পর্যন্ত আজ রোববার (২২ মার্চ) হতে সেবা প্রদান থেকে বিরত থাকবেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

পূর্ণাঙ্গ পিপিই সরবরাহ করার সঙ্গে সঙ্গে তারা পুনরায় পূর্ণ আন্তরিকতার সঙ্গে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে খুলনা মেডিকেলের ইচিপ সাধারণ সম্পাদক ডা. হাসান শাহরিয়ার বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পিপিইর দাবিতে কর্মবিরতিতে যায়। এরপর আমাদের চিকিৎসকদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে হাসপাতালের পরিচালক এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, আমাদের পিপিইর অপ্রতুলতার বিষয়ে তোমরা অবগত। তাই এ মুহূর্তে সরবরাহ করতে পারছি না। তোমরা আপাতত কাজ করে যাও। শনিবার সরবরাহ করা হবে। কথা অনুযায়ী কিছু সরবরাহ করা হলো, কিন্তু এগুলো প্রকৃত পিপিই না। ওটিতে যে মাস্ক ব্যবহার করা হয় সেগুলো দেওয়া হলো। গ্লাভসসহ অন্য কিছু দেওয়া হলো না। এছাড়া হাসপাতালে এখনো স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত হয়নি। হকাররা দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর গতকাল রাতে আমাদের দুইজন ইন্টার্ন চিকিৎসক জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হয়। আমরা ধারণা করছি, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এর পর ইন্টার্নদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেন, যথাযথ পিপিই ছাড়া কাজে যাবেন না।’

আপনার মতামত দিন :