পিপিই কোথায়, কখন এবং কাদের জন্য?

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০২০

সারা বিশ্বজুড়ে এখন চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদির (পিপিই) প্রকট অভাব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহা-পরিচালক তার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সব সময় এই সংকটের কথা বলছেন। তিনি এক প্রকার ভিক্ষা করছেন এই পিপিই’র জন্য। অনেক রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী ইতোমধ্যে এগিয়ে এসেছেন এই সংকট মোকাবেলায়।

তবে এই সংকট শুরু হওয়ারও আগে ২৭শে ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে তাদের ওয়েবসাইটে। কারা কখন কোথায় পিপিই ব্যবহার করবে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা আছে সেখানে। গাইডলাইনে শুধু চিকিৎসক বা নার্স নয় বরং করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ও ব্যবস্থাপনায় যারা জড়িত সবার কথা আছে। ছবিগুলো সেই গাইডলাইনেরই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

প্রজাতন্ত্রের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাসায় বাসায় যাচ্ছেন। তারা কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম কানুন মানছেন কি না তা নিশ্চিত করছেন। তাদের এই পরিশ্রমকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাই। তবে হু’র গাইডলাইন মোতাবেক সেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিপিই’র কোন প্রয়োজন নেই। ১ মিটার বা ৩ ফিট দূরত্ব বজায় রাখাই যথেষ্ট। গাইডলাইনে এটি স্পষ্ট লেখা আছে।

এই বৈশ্বিক মহামারীতে বাজার অস্থিতিশীল হবে এটা সহজেই অনুমেয়। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়বে, মজুতদারী হবে। এই সংকট মোকাবেলায় দেশজুড়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দিন রাত মাঠে আছেন। তাদের এই ত্যাগ ও উদ্যোগ আমাদেরকে আশার আলো দেখায়। কিন্তু হু’র গাইডলাইন অনুযায়ী সেই কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও পিপিই’র প্রয়োজন নেই। এমনকি মাস্ক, গ্লাভসেরও কোন প্রয়োজন নেই। এই ব্যাপারেও গাইডলাইনে লেখা আছে।

যারা ব্যাংকে আছেন তারাও করোনা ঝুঁকির মধ্যে আছেন। তবে তাদের ঝুঁকি নিরসনের জন্য পিপিই একদমই অপ্রয়োজনীয়। ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস, বড়জোর গ্লাভস ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি মাস্কেরও প্রয়োজন নেই।

নিকট অতীতে বাংলাদেশ এরকম কোন মহামারীর সম্মুখীন হয়নি। তাই পিপিই’র ধারণাটাও চিকিৎসক ছাড়া বাকিদের কাছে নতুন। সবাই ভাবছে ঘরের বাইরে বের হতে হলেই পিপিই লাগবে, মাস্ক লাগবে, গ্লাভস লাগবে। বিষয়টা মোটেও সেরকম নয়। বরং এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করার মধ্যেই কল্যাণ নিহিত। তাই কারো কাছে অব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস থাকলে তা নিকটস্থ কোন হাসপাতালে দিয়ে আসুন।

আপনার মতামত দিন :