পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) না পেয়ে বাধ্য হয়ে রেইনকোট আর মাস্ক পরিহিত অবস্থায় আউটডোরে চিকিৎসা ও সেবা দিচ্ছেন কর্মরত চিকিৎসক- নার্সরা। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

চিকিৎসকদের দাবি, দেশের করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ২৫ দিনেও সরকারিভাবে পিপিই সরবরাহ না করায় বাধ্য হয়েই নিজের সুরক্ষার জন্য রেইনকোট কেনা হয়েছে।

জানা যায়, সরকারি নির্দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য পুরাতন ভবনের মহিলা কেভিনে আইসোলেশন কক্ষ তৈরি করে ২০টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসা প্রদানের জন্য এখনো পর্যন্ত করোনা শনাক্ত করার কোনো কিট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেনি। ফলে করোনা শনাক্তের কোনো উপায় নেই। একই সাথে এখনও হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের কোনো পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সরকারিভাবে সরবরাহ করা হয়নি। হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা না সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি রোগী এলে ডাক্তার ও নার্সরা আতঙ্কের মধ্যে চিকিৎসা প্রদান করতেন।

এমন অবস্থায় সরকারের সুরক্ষা ড্রেস এর জন্য অপেক্ষা না করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ৮ জন ডাক্তার নিজ খরচে স্থানীয় বাজার হতে রেইনকোর্ট কিনেছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভুইয়া বলেন, আসলে সরকারে সুরক্ষা ড্রেস এখনো আসেনি। তাই আমাদের নিরাপত্তার জন্য নিজেরাই রেইনকোট ক্রয় করে চিকিৎসা প্রদান করছি।