করোনাভাইরাস: সংক্রমণ এড়াতে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলুন

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ১০:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০২০

করোনাভাইরাস রোগে মৃত্যুর হার কম ২ ভাগ, যা সার্সে ৯ ভাগ, মার্সে ৩৫ ভাগ ও ইবোলায় ছিলো ৫০ ভাগ। কিন্তু এটি যেহেতু রেপিড স্প্রিডিং একসাথে লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে, ফলে এক সময় আমাদের ডাক্তার ও হাসপাতালের পক্ষে সম্ভব হবে না চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

তাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে অনেকের ভাগ্য হয়তো মামুলি চিকিৎসাও না জুটতে পারে। আর অনেক সময় মামুলি চিকিৎসার অভাবেও কিন্তু মৃত্যুর হার অনেক অনেক বেড়ে যাবে।

এ জন্যই পরামর্শ দেয়া হয় কোয়ারেন্টাইনে থাকার। জারি করা হয় লক ডাউন, যাতে রোগটির বিস্তার কম হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে আক্রান্তদের অন্তত মামুলি চিকিৎসাটা দেওয়া যেতে পারে। ব্রিটেন সংক্রমণের মাধ্যমে হার্ড ইম্যুনিটি অর্জনের পলিসি নিয়েছিল। কিন্তু সম্ভবত তারা তা থেকে সরে আসছে। কারণ লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাবে তা অর্জনে।

গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন হচ্ছে, এ রোগে এখন পর্যন্ত শিশু-কিশোর, তরুণ যুবারা খুব কমেই আক্রান্ত হয়েছেন। উৎকণ্ঠার ব্যাপার হলো, এ রোগে বৃদ্ধ জনসংখ্যার বেশি ক্ষতি করে, কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাছাড়া তাদের আরো অনেক রোগ থাকে। আশার কথা, ইউরোপ আমেরিকার তুলনায় আমাদের বৃদ্ধ জনসংখ্যার পরিমাণ কিছুটা কম।

করোনাভাইরাস জ্বরের ওষুধ নেই

করোনাভাইরাস জ্বরের কার্যকরি কোনো ওষুধ নেই। আপাতত কেবল প্যারাসটামল আর সিমটোম্যাটিক। আপনি জ্বর নিয়ে, কষ্ট করে কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেন। তিনি কিন্তু আপনাকে এটাই  দেবেন। তবে দুঃখজনক হলো আপনার যদি সেই জ্বর করোনাভাইরাস কারণে হয়ে থাকে তাহলে আপনি যাত্রা পথে যাদের সাথে মিশলেন তাদের সবার কাছে রোগটি সংক্রমণ করলেন। এমন কি আপনার ডাক্তারকেও।

আর যাদেরকে সংক্রমণ করলেন নিজেদের অজান্তে তারাও সংক্রমিত করতে থাকলো তাদের সংস্পর্শে আসা সকলকেই। এমনি যে ডাক্তারের কাছে বা নার্সের কাছে গেলেন তিনিও সংক্রমণ করলেন অন্যান্য সাধারণ রোগীতে, এমন কি তাদের পরিবার পরিজনে।

তাই বলা হয় জ্বর দেখা দিলে আপাতত প্যারাসিটামল খান এবং ফোনে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন।

আপনার মতামত দিন :