করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে জাপান

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২০

প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করেছে জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশটির ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যানজেস কর্পোরেশন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই ভ্যাকসিন তৈরি সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, যৌথ উদ্যোগে করোনভাইরাসের ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই প্রাণীর দেহে এই ভাইরাসের পরীক্ষা চালানো হবে।

মঙ্গলবার ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যানজেস কর্পোরেশনের এই ঘোষণার পর টোকিও শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১৭ শতাংশ বেড়ে যায়। ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে গত ৫ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে দেশটির ওষুধ প্রস্তুতকারক জায়ান্ট কোম্পানি অ্যানজেস।

কোম্পানিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ডিএনএ’র (প্লাজমিড) কিছু অংশ প্রবেশ করানো হবে। পরে রোগীর শরীরে তৈরি হওয়া প্রোটিন ইমোনাইজড হয়ে করোনাভাইরাসকে ধ্বংস করবে।

দেশটির আরেক প্রভাবশালী ওষুধ কোম্পানি তাকারা ভ্যাকসিনটি বাজারজাতকরণের দায়িত্ব নিয়েছে। ভ্যাকসিনটি তৈরিতে ডাইসেল করপোরেশনের জিন ট্রান্সফার প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসের চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন তৈরিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় জাপানে তৈরি একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ওষুধ পুরোপুরি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে গত সপ্তাহে দাবি করে চীন। জাপানের ফুজিফিল্ম হোল্ডিংস করপোরেশনের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের তৈরি ফাভিপিরাভির (favipiravir) নামের ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে কার্যকর ফল পাওয়া গেছেও বলে জানিয়েছেন চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ঝ্যাং শিনমিন।

সম্প্রতি ওষুধটি উহান ও শেনঝেন অঞ্চলের অন্তত ৩৪০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়। এর ফলাফল প্রসঙ্গে শিনমিন বলেন, ‘এটি খুবই নিরাপদ ও চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর হয়েছে।’

জাপানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, শেনঝেন অঞ্চলে যেসব রোগীকে ফাভিপিরাভির দেয়া হয়েছিল; তারা মাত্র চারদিনের মধ্যেই করোনামুক্ত হয়েছেন। বিপরীতে, অন্য ওষুধ ব্যবহারকারীদের সুস্থ হতে সময় লেগেছে প্রায় ১১ দিন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর বিশ্বের ১৯৬টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫৪ এবং মারা গেছেন ১৯ হাজার ৭৪৪ জন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৯৪১ জন।

আপনার মতামত দিন :