কক্সবাজারে ১২ চিকিৎসকসহ ২১ স্বাস্থ্যকর্মী কোয়ারেন্টাইনে Emon Emon Chowdhury প্রকাশিত: ৭:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২০ কক্সবাজারে মুসলিমা খাতুন (৬০) নামে এক নারী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ৫০১ নম্বর কেবিনে ভর্তি ওই নারীর শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই পৌরসভার পাহাড়তলী এলাকাকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে হোমকোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালের ১২ চিকিৎসক, ৬ নার্স ও ৩ ক্লিনারকে। প্রশাসনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী কচ্ছপিয়া পুকুর মোড় থেকে পশ্চিমে খোরশেদ ভবনের সামনে হয়ে পল্লবী লেইন লকডাউন হিসাবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল ৫টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমদুল্লাহ মারুফ লকডাউন ঘোষণা করে পাহাড়তলী এলাকায় লাল পতাকা ও ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। প্রশাসনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী কচ্ছপিয়া পুকুর মোড় থেকে পশ্চিমে খোরশেদ ভবনের সামনে হয়ে পল্লবী লেইন লকডাউন হিসাবে চিহ্নিত করা হলো। এছাড়াও কিছুদিন আগে ওই নারী চট্টগ্রামে যে বাসায় অবস্থান করেছিলেন সেটি এবং চকরিয়া উপজেলায় তার বাড়িটিকেও লকডাউন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ওই নারীর সন্তান ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও এখন হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন। ইউএনও মাহমদুল্লাহ মারুফ জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই নারীর কাছাকাছি যেসব মানুষ এসেছেন এবং তাদের সংস্পর্শে যারা গিয়েছেন তারাসহ আশপাশের সব মানুষকে নিরাপদ রাখতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ ওই নারী ওমরাহ পালন করে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন। এরপর কাশি, জ্বর ও বুকে ব্যথা অনুভব করলে ২১ মার্চ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রাজধানীর আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার তার শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। আপনার মতামত দিন : SHARES চিকিৎসক কলাম বিষয়: