করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি প্রশংসনীয়: চীন

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২০

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের নেয়া সবধরনের প্রস্ততিতে সন্তষ্টির কথা জানিয়েছে চীন। তাই আপাতত চীন থেকে কোন বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসক ও নার্সিং দল বাংলাদশে আসবেন না বলেও জানিয়েছে দেশটি।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের জন্য চীনের দেয়া করোনা শনাক্তকরণ কীট ও পিপিই গ্রহণকালে এসব কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসক-নার্সরা চাইলে চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে পরামর্শও নিতে পারেন। এই জন্য চীনের বিশেষজ্ঞরা প্রস্তুত রয়েছেন। এমনকি, জরুরি পরিস্তিতিতে বাংলাদেশকে হাসপাতাল নির্মাণে সহায়তাসহ সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতেও প্রস্তুত চীন প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে, চীন থেকে করোনাভাইরাস শনাক্তের ১০ হাজার টেস্টিং কিট ও পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) এবং এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। যার গায়ে লেখা ছিলো- ‘ভালোবাসার নৌকা পাহাড় বাইয়া চলে’। বিমানবন্দরে মেডিকেল সরঞ্জামগুলো গ্রহণ করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। পরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের কাছে এগুলো হস্তান্তর করেন।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে মেডিকেল সরঞ্জাম সহায়তা দিচ্ছে চীন সরকার। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও দ্বিতীয়বারের মতো এসব টেস্ট কিট, পিপিই ও থার্মোমিটার পাঠিয়েছে তারা। প্রথম দফায় বাংলাদেশকে দুই হাজার কিট ও চিকিৎসাসামগ্রী দিয়েছিল চীন।

এর আগে করোনা ভাইরাস চীনে ভয়াবহ আকার ধারণ করার সময়ে চীনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ১০ লাখ হাতমোজা, পাঁচ লাখ মাস্ক, এক লাখ ৫০ হাজার ক্যাপ, এক লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৫০ হাজার জুতার কাভার ও আট হাজার গাউন উপহার দেয় বাংলাদেশ। এর পর দুইধাপে মেডিকেল সরঞ্জাম পাঠিয়ে বাংলাদেশে চলমান করোনা যুদ্ধে পাশে দাঁড়িয়েছে দেশটি।

আপনার মতামত দিন :