লক্ষ্মীপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে কলেজে পড়ুয়া মেয়েদেরকে হয়রানি এবং ইভটিজিং করার অভিযোগ Emon Emon Chowdhury প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২০ শাহরিয়ার রশীদ নাফি : শিক্ষক আমাদের সমাজের পথপ্রদর্শক।আমরা যখন বাড়িতে থাকি তখন আমাদের পিতা-মাতা আমাদের অভিভাবক থাকেন। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন যাই তখন শিক্ষকরা আমাদের অভিভাবক হোন। কিন্তু কিছু-কিছু বিকৃত মানসিকতার শিক্ষকদের কারণে, আজ সমাজ প্রশ্নবিদ্ধ। তেমনই বিকৃত মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায় লক্ষীপুর সদর উপজেলায় আবদুল আলি খান নামক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক মধ্যে। তার বিরুদ্ধে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের কে মোবাইলে ম্যাসেজিং করাসহ ইভটিজিংয়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী লক্ষীপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনির ছাত্রী জানান, বেশ কিছুদিন থেকে আবদুল আলি খান আমাকে প্রেম করার জন্য প্রস্তাব দেয়,আমার ছবি দিতে বলেন। আমি তাকে আমাকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করি। তারপরেও ওই শিক্ষক আমার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে আমাকে প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের ম্যাসেজ দিতে থাকে । আমি উত্তর না দিলেও তিনি আমাকে আমাকে উত্তর দিতে বাধ্য করান। তিনি আমাকে ম্যাসেজ দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিরক্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। একজন শিক্ষক হয়ে তিনি আমাকে এভাবে যে প্রস্তাব দিয়ে আমাকে যেভাবে ভয়ের মধ্যে রেখেছেন তাতে আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। এ ঘটনায় আমি উপযুক্ত বিচার চাই। আবদুল আলি খান এর বিরুদ্ধে শুধু এটা ঘটনাই প্রথম নয়। তিনি এর আগে ও ৫-৬ জন ছাত্রীর সাথে এ ধরনের ভুল কাজটি করেছিলেন। তার ভুলের বিচার হওয়া উচিত। উল্লেখ্য যে আবদুল আলি খান এক সময় লক্ষীপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের গেস্ট টিচার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি কমলমগর উপজেলায়, এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আপনার মতামত দিন : SHARES অপরাধ ও অসংগতি বিষয়: