মেডিকেল পোস্টগ্রাজুয়েট ভর্তি কোচিংগুলো ক্লাস-পরীক্ষা নিচ্ছে অনলাইনে

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২০

করোনা ভাইরাস মহামারী রোধে সারাদেশে লক ডাউনের মধ্যে অনলাইনে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে পোস্টগ্রাজুয়েশন মেডিকেল কোচিং সেন্টার জেনেসিস, ম্যাট্রিক্স ও সিন্যাপস। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় নোট-শিট সরবরাহের পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন পরীক্ষা। তবে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে ডা. দিলীপ কুমার নাথের পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল অ্যাকাডেমি ও সুমন্ত কুমার সাহার এস এস একাডেমি।

এদিকে অনলাইনের শিক্ষা কার্যক্রম যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়াটা অস্বাভাবিক বিষয়।  তাই পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে শিক্ষার্থী উপকৃত হবে।

জানতে চাইলে ম্যাট্রিক্স`র নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ফারাজী বলন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। তবে অনলাইন এক্সাম ব্যাচের কার্যক্রম চলছে। বাসায় বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। এতে প্রস্তুতি যথেষ্ট না হলে অনলাইনে কিছু টিপস ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে।’

এ ব্যাপার জেনেসিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. নাহিদুজ্জামান সাজ্জাদ  বলেন, ‘আমরা আপাতত আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে অনলাইনের মাধ্যমে রিভিউ পরীক্ষা নিচ্ছি। আগে যা পড়েছে তারা সেগুলো পর্যালোচনা করছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। আমাদের অনলাইন সফটওয়ারের মাধ্যমে রুটিন এবং প্রশ্ন সমন্বয় করা হচ্ছে। ক্লাসগুলো ভিডিও রেকর্ড করে রাখছি।’

তবে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল অ্যাকাডেমি ও এস এস একাডেমি।

পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল অ্যাকাডেমি কর্মকতারা  জানিয়েছেন, ‘১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা নাই। ডাক্তারদের হাসপাতালে ডিউটি করতে হচ্ছে।’

অনলাইনের শিক্ষা কার্যক্রম যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্লাসে যে সার্ভিসটা পাওয়া যায় সেটা অনলাইনে পূরণ হয় না। এখানে লেকচার শিট দেখা, বই দেখা যায়। বোর্ডে-স্লাইডে অনেক বিষয় শেখার থাকে।

কোচিং সেন্টারে অধ্যয়নরত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ৮ম ব্যাচের ডা. মো. যোবায়ের মাহমুদ বলেন, ‘এ মুহূর্তে কারও মানসিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না। এ অবস্থায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়াটা অস্বাভাবিক বিষয়। অনেক চিকিৎসক করোনাভাইরাসের সেবা নিয়ে ব্যস্ত। অনেকে আবার কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন। এ অবস্থায় পরীক্ষাটা পিছিয়ে দিলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন।’

পরীক্ষা নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়ে একই মেডিকেল কলেজের  ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. ফারহাত রিজভান বলেন, প্রস্তুতি কিছুটা অনলাইনে শুরু হয়েছে। কিন্তু এটা অতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। ক্লাসে গিয়ে ক্লাস করার মতো কার্যকর মনে হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘রয়েল কলেজ অব লন্ডন যেহেতু তাদের পরীক্ষা পিছিয়েছে। সে হিসেবে অধিকতর প্রস্তুতির সুবিধার্থে বিসিপিএস যেন অন্তত এক-দুই মাস পরীক্ষাগুলো পিছিয়ে দেয়। এজন্য প্রয়োজনে বিসিপিএসের কাছে যাবো আমরা।’

এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার এ পরিস্থিতিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না।

আপনার মতামত দিন :