আমি করোনা আক্রান্ত নই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি-না, এমন সন্দেহ থেকে নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরীক্ষায় তিনি উতরে গেছেন অর্থাৎ তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।

রোববার (২৯ মার্চ)স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস সম্পর্কিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত থাকাকালে এক সংবাদকর্মীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

জাহিদ মালেক বলেন, আমি করোনামুক্ত। বর্তমান পরিস্থিতিতে আর দশজন মানুষ যেভাবে থাকছেন, আমিও সেভাবেই থাকছি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে বলে তিনি দাবি করেন।

জাহিদ মালেক বলেন, অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি ছিল বলে বাংলাদেশ ভালো রয়েছে। চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর থেকে অর্থাৎ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশ প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করে। বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্ক্রিনিং, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি, ট্রিটমেন্ট প্রটোকল তৈরি এবং ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য তিন হাজার বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। সারাদেশে ল্যাবরেটরি প্রস্তুত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতালে ৫০০ ভেন্টিলটর রয়েছে। এসব ভেন্টিলেটর থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভেন্টিলেটর মেশিন করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে। আরও ৩৫০ ভেন্টিলেটর কিছুদিনের মধ্যেই আনা হবে। করোনা রোগীদের পরীক্ষার জন্য ৪৫ হাজার কিট মজুদ রয়েছে।

চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তার জন্য ইতোমধ্যেই তিন লাখ পিস পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী) সরবরাহ করা হয়েছে এবং প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার পিপিই তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

কিছু কিছু মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি গণমাধ্যমকে আরও দায়িত্বশীল হয়ে সরকারের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড তুলে ধরার আহ্বান জানান।

ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, দেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে কোনো আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরসহ বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও তাদের কারও দেহে করোনা শনাক্ত হয়নি। ফলে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮ জনই রয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মারা গেছেন ৫ জন। বর্তমানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৮ জন।

আপনার মতামত দিন :