এপ্রিলে করোনার বড় ধাক্কা আসতে পারে, প্রধানমন্ত্রীর সতর্কর্তা Emon Emon Chowdhury প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২০ এপ্রিলে (চলতি মাসে) বাংলাদেশে করোনাভাইরাস বড় ধাক্কা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অবস্থায় সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতেও বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই ভাইরাসটির প্রসারিত হওয়ার বিষয়টি অঙ্কের মতো। এপ্রিলে আমাদের দেশে এর ধাক্কা ব্যাপকভাবে আসবে। এ রকমই আলামত পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরনের কিছু প্রতিবেদনও আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেই অবস্থায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’ মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে গণভবন থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলাসমূহের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ শঙ্কার কথা জানান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের গতি যখন অব্যাহত, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যখন কাজ করে যাচ্ছি, ঠিক তখনই এলো করোনাভাইরাস। সারা বিশ্বে এটি প্রলয় সৃষ্টি করেছে। এজন্য সবকিছু স্থবির। এর প্রভাবটা বাংলাদেশে এসে পড়েছে। এটা পড়াও খুব স্বাভাবিক। সারা বিশ্বের ২০২টি দেশ এর ভুক্তভোগী। প্রতিনিয়ত এটা বাড়ছে। আমরা শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি এর প্রভাবে মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তবে এই ভাইরাসটির প্রসারিত হওয়ার বিষয়টি অঙ্কের মতো। অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি, তাতে মতে হচ্ছে এপ্রিলে আমাদের দেশে এর ধাক্কা ব্যাপকভাবে আসার কথা। এ রকমই আলামত পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরনের কিছু প্রতিবেদনও আমরা দেখতে পাচ্ছি। এ অবস্থায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘দেশের এ অবস্থায় আমাদের এমনভাবে চলতে হবে যাতে ক্ষতি কম হয়। এটা ঠিক যে একটা স্থবিরতা যেন এসে গেছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে। আমাদের অর্থনৈতিক যে প্রবৃদ্ধি আমরা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলাম তাও কিন্তু থেমে গেছে। এটা শুধু আমাদের দেশ নয়, সারা বিশ্বব্যাপী। জানমাল রক্ষা করতে হবে। অর্থনীতি গতিশীল রাখতে হবে। উন্নত বিশ্ব এটা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। সবাইকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা দেশের এই দুঃসময়ে জীবনবাজি রেখে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদেরকে আমরা হতাশ করবো না। যারা শুরু থেকে কাজ করছেন তাদের একটা তালিকা করতে নির্দেশ দিয়েছি। তালিকা সংগ্রহের কাজ চলছে। চিকিৎসকরা যেমন জাতির জন্য কিছু করছে, আমরাও তাদের জন্য কিছু করবো। চিকিৎসক-নার্সসহ কোন স্বাস্থ্যকর্মী দায়িত্বকালীন সময়ে করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের জন্য ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবীমা চালু করা হবে। আর যারা সেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন, তাদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা আরো পাঁচগুণ বেড়ে যাবে। তবে যারা নিজেদের সুরক্ষায় পালিয়ে গেছে, তারা এই প্রনোদনা পাবে না। আপনার মতামত দিন : SHARES জাতীয় বিষয়: