করোনা আতঙ্কে কমলগঞ্জের ১০ জন ডিপ্লোমা চিকিৎসক

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৩:৪১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২০

সালাহ্উদ্দিন শুভ : 

সারাদেশে চলমান মরণব্যাধী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনকালে কোভিড ১৯ এর আক্রান্ত হয়েছে ১৬ জন ডিপ্লোমা চিকিৎসক (উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার, এস.এ.সি.এ.ও)। এর ফলে এখন মাঠ পর্যায়ে আতঙ্কের মাঝে দায়িত্ব পালন করছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ১০ জন ডিপ্লোমা চিকিৎসক।

কমলগঞ্জের ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হাসপাতালে কর্মরত প্রায় ১০ হাজার উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার, (এস.এ.সি.এম.ও) সব কয়টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়াও ভ্রাম্যমান মেডিক্যাল টিম, হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে, আইসোলেশন, স্যাম্পল কালেকশন, জরুরি বিভাগ গুলোতে সামান্য সুরক্ষা, এমনকি সুরক্ষা ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে এই পর্যন্ত সারাদেশে ১৬ জনের অধিক ডিপ্লোমা চিকিৎসক (উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার, এস.এ.সি.এম. ও) আক্রান্ত হন এবং একজন ইর্ন্টানী ডিপ্লোমা চিকিৎসক দায়িত্বরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। আক্রান্তদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ১ জন, ময়মনসিংহের গঁফরগাওঁ ৩ জন, নরসিংদী সদর ও মনোহরদী ২জন. জামালপুর মাদারগঞ্জের ১জন, গাজীপুর কাপাসিয়া ও কালিগঞ্জে ৪জন, ঢাকা সাভার ১জন, ভৈরব কিশোরগঞ্জ ২জন, নারায়ণগঞ্জে ১জন এবং বেশ কয়েকজন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিক্যাল এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সহ-সম্পাদক, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, (এস.এ.সি.এম.ও), ডিপ্লোমা ডা: এ কে এম সামছুদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন জেলায় টেলি মেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। কমলগঞ্জে বর্তমানে ১০জন ডিপ্লোমা চিকিৎসক (এসএসিএমও) ঝুঁকি নিয়ে নিষ্ঠার সাথে চিকিৎসা সেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বি ডি এম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডিপ্লোমা ডা. এম সাহিদুর রহমান বাবু ও ডা. মো. নুরুল আমিন সকল ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সুরক্ষা, কাজের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, ৩০ হাজার বেকারদের নিয়োগ ও প্রনোদনা প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি অংশ। তারা সবসময় মাঠ পর্যায়ে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। এখন কোভিড-১৯ সংক্রমণকালে রোগীদের স্যাম্পল সংগ্রহ, কোয়ারেন্টিনে রোগী আছে কিনা পর্যবেক্ষণ এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তারা করছেন।

বর্তমানে তাদের সুরক্ষায় পিপিই দেওয়া হলেও ২৪ ঘন্টা সজাগ থেকে তাদের দায়িত্ব পালণ করতে হচ্ছে। ১০ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসকের মধ্যে ১৬ জন আক্রান্ত হওয়া ও এক জনের মৃত্যুতে আসলেই মাঠ পর্যায়ে তারা এখন আতঙ্কিত রয়েছে।

তাদের এসব বিষয়ের প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নজর রাখছেন।

আপনার মতামত দিন :