যেসব পেশায় ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০

যে শরীরে ক্যানসার ছড়ায়, মৃত্যু তাকে হাতছানি দেয়, মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল করে ফেলে। চিকিৎসা, কেমোথেরাপির বিপুল খরচ বহন করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে অনেক পরিবার।

মারণব্যাধি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানোর মতো বহু কারণ রয়েছে। এরমধ্যে একটি হতে পারে কাজের জায়গাও, অর্থাৎ কর্মক্ষেত্র। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রতিবেদন অনুসারে, কর্মক্ষেত্রও ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। অন্যান্য পেশায় কর্মরত ব্যক্তিদের তুলনায় নির্দিষ্ট পেশায় কর্মরত ব্যক্তিরা, যেমন – ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টদের ক্ষেত্রে ত্বক এবং স্তন ক্যান্সারের মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে কর্মক্ষেত্র-সম্পর্কিত ক্যান্সারের হার গত কয়েক দশকে অনেকটাই কমেছে বলে মনে করে ক্যান্সার সোসাইটি। এবং তা সম্ভব হয়েছে সুরক্ষা বিধি বৃদ্ধি ও প্রচারের কারণে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে যেসব কাজে
১) নির্মাণ শ্রমিক
নির্মাণ শ্রমিকদের ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্য পেশায় নিয়োজিতদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের ক্ষতিকর আলোয় থাকার কারণে তাদের ত্বকের ক্ষতি হয় এবং এর ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এছাড়া, মেসোথেলিয়োমা নামক এক ধরনের ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও থাকে নির্মাণ শ্রমিকদের।

২) রবার নির্মাতা
রাসায়নিক, রাসায়নিক বাষ্প, ধূলো এবং অন্যান্য উপজাত পণ্যগুলোর সংস্পর্শে আসার কারণে রাবার নির্মাতাদের পাকস্থলী, ফুসফুস এবং মূত্রাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই শিল্পে কাজ করা ব্যক্তিদের লিউকেমিয়াস এবং লিম্ফোমাস হওয়ার ঝুঁকি থাকে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে একটি প্রতিবেদনে।

৩) কৃষক
এক সমীক্ষা অনুসারে কৃষিকাজে কর্মরত নারী ও পুরুষ উভয়েরই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। কারণ, এ পেশায় যারা জড়িত তাদের নিয়মিতই কীটনাশক, সারসহ কিছু রাসায়নিক উপাদান নিয়ে কাজ করতে হয়। ফলে এগুলো তাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং এসব রাসায়নিকের অত্যাধিক এক্সপোজারের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রকোপ যেমন-লিম্ফোমাস, লিউকেইমিয়াস এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

৪) হেয়ারস্টাইলিস্ট
একটি প্রতিবেদন অনুসারে, চুলের শিল্পে কর্মরত ব্যক্তিরাও ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। কারণ, চুলে ব্যবহৃত রঙ এবং রঙে থাকা রাসায়নিকগুলোর দ্বারা বেশি পরিমাণে এক্সপোজড হন তারা। এই কেমিকেলগুলো শরীরে প্রবেশ করে। দীর্ঘদিন কাজ করার ফলে এটি মূত্রাশয় এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

৫) খনি
বিভিন্ন খনিতে কর্মরত মানুষেরও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। যেমন ডিজেল নিষ্কাশন ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়াও, কয়লা খনি, ইটের খনি ইত্যাদি কাজের প্রক্রিয়া চলাকালীন ফুসফুসে জমা হওয়া ধূলিকণা ফুসফুসের টিস্যুগুলিকে কালো করে দেয় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

আপনার মতামত দিন :