চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেড় সহস্রাধিক স্বাস্থ্যকর্মী Emon Emon Chowdhury প্রকাশিত: ৫:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০ করোনাভাইরাসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চিকিৎসাকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সম্পর্কে চীনের কাছে তথ্য চেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা। এখন পর্যন্ত এক হাজার ৭৬০ স্বাস্থ্যকর্মী প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে চীন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আডহানোম গেবরেইয়াসুস বলেন, এটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। স্বাস্থ্যকর্মীরা হলেন এমন আঠা যারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে জোড়া লাগিয়ে রাখেন। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা একসঙ্গে সাড়া দেন। কাজেই কতসংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তথ্য আমাদের জানা দরকার। এমনকি কোন সময় ও পরিস্থিতিতে তাদের শরীরে এই প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছে, তাও জানতে হবে। গার্ডিয়ানের খবর বলছে, গত ডিসেম্বরে উহানের সামুদ্রিক প্রাণী বেচাকেনার একটি বাজার থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েপড়ার পর ছয় চিকিৎসাকর্মী মারা গেছেন। এই প্রথমবারের ভাইরাস আক্রান্তের নথিতে পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করেছে চীন। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভাইরাসটি থেকে নিস্তার পেতে সুরক্ষা গাউন, গ্লোভস ও মাস্কের ঘাটতির মুখে বিভিন্ন অস্থায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে চীনের চিকিৎসক ও নার্সরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ছেঁড়াখোঁড়া সুরক্ষা মাস্ক জোড়াতালি লাগিয়ে, একবার ব্যবহার করে ফেলে দেয়ার মতো গগলস ফের পরতে দেখা গেছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। নিজেদের জুতা প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে মুড়িয়ে নিচ্ছেন তারা। কারণ তাদের কাছে কোনো সুরক্ষা কাভার নেই। কখনো কখনো নিজেদের টাকা দিয়ে সুরক্ষা পোশাক কিনতে দেখা গেছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। দীর্ঘ সময় তাদের খাওয়া ও পান করা থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। কারণ ওয়াশরুমে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে তাদের সুরক্ষা পোশাক খুলতে হবে। আর এগুলো একবার শরীর থেকে সরিয়ে ফেললে দ্বিতীয়বার পরার যোগ্য থাকছে না। চীনসহ কভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলোর স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু সুরক্ষা পোশাক পেতে চীনা হাসপাতালগুলোতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। শুক্রবার মেডিসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ারস (এমএসএফ) জানিয়েছে, উহানের নিজইনটান হাসপাতালে তারা সাড়ে তিন টন চিকিৎসা বিষয়ক সুরক্ষা যন্ত্র পাঠিয়েছে। করোনাভইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই হাসপাতালটি সামনের সারিতে রয়েছে। ভাইরাসটি সংক্রমণ রোধে চীনের বেশ কয়েকটি শহর অচল করে রাখা হয়েছে। কিন্তু মাস্ক, গ্লোভসহ সুরক্ষা যন্ত্রপাতি(পিপিই) উৎপাদন ও সরবরাহও বেশ বাধাগ্রস্ত হতে দেখা গেছে। এমনকি সব চেয়ে প্রয়োজনীয় স্থানগুলোতেও এসব যন্ত্র ঠিকমতো পৌঁছাতে পারছে না। চিকিৎসকরা এখন যেভাবে কভিড-১৯ ভাইরাসটি নির্ণয় করছেন, পরিবর্তিত সেই উপায় নিয়ে চীনের কাছে আরও তথ্য চেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এতে বৃহস্পতিবার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নতুন উচ্চতায় গিয়ে ঠেকেছে। হুবাই প্রদেশের অতিরিক্ত পনেরো হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। এসব রোগী সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়েছে, কোনো ল্যাব পরীক্ষার মাধ্যমে না। বর্তমানে ৬৬ হাজার ৪৯২ রোগীকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। আর এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ৫২৩ জন। আপনার মতামত দিন : SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: