কোভিড-১৯ গবেষণা : বাংলাদেশী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে আন্ডাগ্রাজুয়েট রিসার্চ অর্গানাইজেশন! Emon Emon Chowdhury প্রকাশিত: ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২০ একাবিংশ শতাব্দীর মহামারী কোভিড-১৯ -কে মোকাবেলা করার জন্য সারাবিশ্বে চলছে গবেষণা, বাংলাদেশি গবেষকরাও এই যাত্রায় পিছিয়ে নেই। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৫০টি গবেষণা প্রকাশ হয়েছে (সোর্সঃ স্পোপাস ডাটাবেস, ১৫ই জুন, ২০২০)। বাংলাদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবথেকে বেশি (৫ টি) কোভিড-১৯ নিয়ে গবেষণা-প্রবন্ধ প্রকাশ করে সাভারের Undergraduate Research Organization (ugro)। ugro’র ৫টি প্রবন্ধসহ সর্বমোট ৯টি প্রবন্ধ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম অবস্থানে আছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, এরপরেই শাবিপ্রবি। আর মেডিকেল কলেজের মধ্যে এনাম মেডিকেল কলেজ মোট ৬টি প্রবন্ধ প্রকাশ করে। আইসিডিডিআর,বি-র মত গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র ৪টি প্রবন্ধ প্রকাশ হয়। ugro বাংলাদেশে প্রথম রিসার্চ প্লাটফর্ম, যেটা ২০১৮ সালে প্রতিষ্টিত করেন মোহাম্মদ মামুন। তাদের গবেষণা কার্যক্রম চালু হয় ২০১৯ সালে এবং সেই বছরই ১৫টি আন্তর্জাতিক মানের প্রবন্ধ প্রকাশ করে। আর ২০২০ সালে এ পর্যন্ত ২০টি প্রবন্ধ প্রকাশ করে, এবং সর্বমোট ৫০টির মত গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশে আশাবাদী বলে উল্লেখ করেন প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর মামুন। উল্লেখ্য যে, গতবছর বাংলাদেশের ডেংগু মহামারী নিয়ে উগ্র থেকে একটি গবেষণা প্রবন্ধ “দ্যা ল্যানসেট” নামের দুনিয়াখ্যাত সম্মানীয় মেডিকেল গবেষণা সাময়িকীতে প্রকাশ করেন। প্রতিষ্টানটির সাথে প্রধান গবেষণা কোলাবোরেশন আছে যুক্তরাজ্যের Prof. Mark Griffiths, যুক্তরাষ্ট্রের Prof. David Gozal, সোউদি আরবের Prof. Md Dilshad Manzar, ইরানের Prof. Amir Pakpour প্রমুখ। ugro বাংলাদেশের প্রথম গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেটি পরিচালনা করেন একজন আন্ডারগ্রাজুয়েট ছাত্র, আর আন্ডারগ্রেড ছাত্রদের হাতে-কলমে গবেষণা শিখার সুযোগ দেয় একমাত্র তারাই। মিঃ মামুন বলেন, “প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গবেষণা না শিখে আমি যেমন আন্ডারগ্রেড ২য় বর্ষ থেকে বিশ্বমানের গবেষণা করে চলছি, সেই বিকল্প পদ্ধতিতেই আমি অন্য তরুণদের গবেষণায় সহযোগিতা করি এবং তাদেরকে গবেষণায় যুক্ত করে আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেই চলছি”। বাংলাদেশে বিজ্ঞান গবেষনায় তাদের অবদান আরো বাড়বে সেই সাথে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এমনটাই আশা করা যাচ্ছে। আপনার মতামত দিন : SHARES গবেষণা ও আবিষ্কার বিষয়: