কুলাউড়ায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা, আহত ৪ Emon Emon Chowdhury প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২০ ফেরদৌসুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় আহত হয়েছেন একই পরিবারের ৪ জন সদস্য। এর মধ্যে লোকমান মিয়া (৫৫) নামে বৃদ্ধের অবস্থা আশঙ্কাজনক। লোকমান মিয়ার বাম চোখের নিচে গুরুতর আঘাত ও ডান পায়ের পিছনের পেশীতে গুরুতর দায়ের কোপ রয়েছে। বাকিদের ওপরও হামলার চিহ্ন রয়েছে। গুরুতর আহতরা বর্তমানে সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত বাকিরা হলেন লোকমান মিয়া ছেলে জুনাব মিয়া (২৬), মেয়ে জেরিন বেগম (২০) ও তার স্ত্রী শামেলা বেগম (৫০)। সোমবার ২২ জুন উপজেলার চুনঘর এলাকার ছমরু মিয়া ফিলিং স্টেশনের পশ্চিম পাশে সুলতানপুর এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের উত্তর চুনঘর এলাকার বাসিন্দা ফুরকান মিয়া (৬৫), লোকমান মিয়া (৫৫) ও রমজান মিয়া (৫০) তিন ভাইয়ের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিলো। এর এক পর্যায়ে সোমবার সকালে ফুরকান মিয়ার ছেলে এনাম (২০) কয়েকজন বহিরাগতদের নিয়ে ছমরু মিয়া ফিলিং স্টেশনের পাশে থেকে লোকমান মিয়ার ছেলে জুনাব মিয়া (২৬)-কে মোবাইলে কল করে যাওয়ার জন্য বলে। জুনাব মিয়া গিয়ে তাকে ডাকার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই হঠাৎ আড়াল থেকে দৌঁড়ে এসে তার চাচা ফুরকান মিয়া, তার ছেলে ইস্রাব (২৭), সালেখ (২৫) ও এনাম (২০) জনসম্মুখে হামলা করে। এসময় জুনাবের বাবা লোকমান মিয়া ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ইস্রাবের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। এসময় লোকমান মিয়াকে বাঁচাতে তার ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও হামলা করে ফুরকান মিয়া ও তার ছেলেরা। এসময় লোকমান মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা হাল্লা চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের আহতবস্থায় উদ্ধার করে। আহতদের কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির মিয়া বলেন, উনাদের পারিবারিক দ্বন্ধ দীর্ঘদিনের। আমরা স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় বিচার সালিশ করে পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা করে দিয়েছি। কিন্তু সোমবার যে ঘটনাটি ঘটেছে তা দুঃখজনক। কুলাউড়া উপজেলা বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুল হক ফজলু বলেন, তাদের মধ্যে সম্পত্তিগত বিরোধ চলছিলো। একাধিকবার সালিশ বৈঠকে তা সমাধানও হয়েছিলো। কিন্তু সোমবার সকালে যে ঘটনাটি ঘটলো তা এক কথায় ন্যাক্কারজনক। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ। এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিলো। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করে নি। অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপনার মতামত দিন : SHARES দেশজুড়ে বিষয়: