চুলকানি রোগ দাদ এর কারণ ও চিকিৎসা 

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ২:২০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২০

মানুষের শরীরের কিছু অংশ আছে, যে গুলি মূলত সর্বদায় আবৃত থাকে, এবং সংকুচিত অবস্থায় থাকে,

যথা বগল, রানের চিপা, নিতম্ব ইত্যাদি,,, এইসব জায়গা গুলি যদি ফাংগাই জাতীয় ক্ষুদ্র অনুজীব দ্বারা ইনফেকশন হয়, তবে একে আমরা মেডিকেল এর ভাষায় Fungal infection আরো স্পেসিফিক ভাবে
Tinea cruris বলে থাকি। আর সহজ বাংলায় একে দাদ বলা হয়ে থাকে। শরিরের অন্যান্য জায়গায় হলে একে Tinea Corporis বলে, পায়ে হলে Tinea pedis বলে, আবার শরীরের ভাঁজযুক্ত এলাকাগুলি কে Groin Area বলা হয়. এইসব জায়গায় হলে Tinea cruris বলে।

Groin Area (রানের পাশে কিংবা নিতম্বে) Fungal infection হবার কারণ::

আমাদের স্কিনে একপ্রকার ক্ষুদ্র অনুজীব Normal flora হিসাবে বসবাস করে থাকে, যাকে মেডিকেলের ভাষায় Dermatophyte (ডার্মাটোপাইট) বলা হয়ে থাকে। এই ডার্মাটোপাইট
এর একটি নির্দিষ্ট অনুপাত আছে, যা শরিরের কোন ক্ষতি করেনা, কিন্তু যখন বাহির থেকে ধুলাবালি পড়ে,
কিংবা যদি ময়লা জামা কাপড় কিংবা #অতিরিক্ত_ঘাম
জমে যায়, অথবা যদি সেতসেতে তরল বা আদ্র পরিবেশ সৃষ্টি হয়,বাইক জার্নি করার কারনে যা হয়ে থাকে,, অথবা গোসল করার পর শরিরের পানি না শুকানো, এইসব পরিস্থিতিতে অনুজীব গুলি খুব দ্রুত
বংশবিস্তার করে, এবং আক্রান্ত ব্যক্তি Fungal infection এর উপসর্গ নিজের মধ্যে উপলব্ধি করতে পারে।।।।

উপসর্গ::
#চুলকানি

#লাল_লাল গোলাকার রিং আকৃতির দাগ দেখা যাবে। চার পাশে ছোট ছোট লাল দাগ থাকবে, তার মাঝখানে ক্লিয়ার থাকবে।

#চুলকানিতে চামড়া ক্ষত হয়ে যেতে পারে।।।

#প্রতিদিন_একটি_নির্দিষ্ট সময়ে চুলকানি বেড়ে যেতে
পারে,,, গোসলের পর কিংবা ঘুমানোর আগে ও ঘুম থেকে উঠার পর এবং দুপুর বেলায় চুলকানি বেড়ে
যেতে পারে….

#এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতেও ছড়িয়ে যেতে পারে।।।
#চুলকাইতে চুলকাইতে পানি ও রক্ত বাহির হতে পারে।।।।

#প্রতিরোধ:
১।। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহার করা।

২।। টাইট ফিট জামা avoid করতে হবে।

৩। আক্রান্ত ব্যক্তির জামা কাপড় ব্যবহার না করা।

৪।। ধুলা-বালি থেকে বেছে থাকা।

৫। পুকুরের পানিতে গোসল করা যাবেনা, কারন
পুকুরের পানিতে Fungal organism এর অস্তিত্ব বিদ্যমান।

৬। গোসলের পর Groin Area গুলি গামছা কিংবা তোয়ালে দিয়ে শুকাইয়া নেওয়া।

৭।। যাতে ঘাম জমতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখা।

চিকিৎসা:

এন্টিফাংগাল ক্রিমঃ Clotrimazole সকাল সন্ধায় দুইবার, এইটা খুবই উপকারী,
সাথে Terbenafine ক্রিম ও দেওয়া যেতে পারে, যদি চুলকানি পরিমানে বেশি থাকে।

ওরাল এন্টিফাংগাল লাগতে পারে,।
সেইক্ষেত্রে Fluconazole, Terbenafine ইত্যাদি খুব ভালো কাজ করে, মিনিমাম ৬ সপ্তাহ ব্যবহার করবে।

পাশাপাশি চুলকানি কমার জন্য Anti-Histamine ব্যবহার করা যেতে পারে। সেইক্ষেত্রে Fexophenadine ভালো কাজ করে।

লিখেছেনঃ

ডাঃ ইসমাইল আযহারি
এমবিবিএস, পিজিটি মেডিসিন,
ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাঁসপাতাল।

আপনার মতামত দিন :