ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমে ভূমিকা রাখতে পারে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা

Selim Selim

Reja Sobuj

প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২১

সেলিম রেজা সবুজ ঃ

পৃথিবীতে করোনা সংক্রমনের শুরু থেকে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা স্যাম্পল কালেকশন ও তা ল্যাবরেটরি তে পরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। শুধু করোনা নয় রোগ নির্ণয়ের জন্য যেসকল কার্যক্রম প্রয়োজন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্যাম্পল কালেকশন। আর এই সকল স্যাম্পলের মধ্যে বেশিরভাগ স্যাম্পল হচ্ছে রক্ত, যা কিনা সিরিঞ্জের মাধ্যমে রোগীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। বিশ্বের প্রতিটি হসপিটাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই রক্ত রোগীর শরীর থেকে সিরিঞ্জের মাধ্যমে যারা সংগ্রহ করে উনারাই হচ্ছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য রোগীর শরীরে সিরিঞ্জের নিডেল কিভাবে পুশ করলে একজন রোগী ব্যথা পাবে না বা নিডেল পুশ করার স্থানে ইনফেকশন হবে না এসব বিষয় একজন টেকনোলজিস্ট কে সবার আগে ভাবতে হয়। তাই দেশে বিদ্যমান হাজার হাজার ডায়াগনস্টিক, হসপিটালে সিরিঞ্জের মাধ্যমে রোগীর শরীর থেকে সূক্ষ্মভাবে রক্ত সংগ্রহে এসকল টেকনোলজিস্টরা বেশ দক্ষ। কারণ এসকল টেকনোলজিস্টদেরকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর যৌথভাবে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি পড়িয়ে এ সকল কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে। বর্তমানে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ রোধে সামনের বড় ভূমিকা ও চ্যালেঞ্জের বিষয় হচ্ছে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম এবং এই ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হলে দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত জনবলের কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন যে পরিমাণে রোগী হসপিটালে আসছে তাদেরকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে ডাক্তাররা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে,নার্সরাও তাদের সেবা দিতে গিয়ে প্রায় একই অবস্থার সম্মুখীন। এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে একমাত্র মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সরকার সঠিকভাবে কোথাও কাজে লাগাতে পারছে না, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনার অভাব। যার ফলে সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রায় 40 হাজারের মতো মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বেকার বসে আছে। এই পরিস্থিতিতে বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা যেকোনো মূল্যে করোনা সংক্রমণ রোধে তাদের ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।তাই এত সংখ্যক প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল কে বসিয়ে না রেখে করোনা সংক্রমণ রোধে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার সঠিক সময় এখনই। এতে করে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম যেমন দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হবে ঠিক তেমনি দেশের মানুষ অদক্ষ জনবলের হাত থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণের পরবর্তী সমস্যার সম্মুখীন হাওয়া থেকে বেঁচে যাবে।

আপনার মতামত দিন :