করোনা রোগী শনাক্তের পাশাপাশি প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট’রা Moshiur Moshiur Rahman Noyon প্রকাশিত: ২:২৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০ করোনায় আক্রান্ত রোগীদের রক্তে COVID-19 এর Against একধরনের Antibody Grow তৈরি হয়। পরবর্তীতে করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলে Antibody Titre এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় কতটা Antibody তৈরি হয়েছে। এর পর সুস্থ রোগীর দেহ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে সেখান থেকে প্লাজমা আলাদা করা হয়। আর এই প্লাজমার মধ্যেই বিদ্যমান থাকে এন্টিবডি যা একজন করোনায় আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হয় যাকে বলা হয় প্লাজমা থেরাপি। এই প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার ফরে করোনায় আক্রান্ত রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হচ্ছে। আর এই কাজগুলো একজন মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট করে থাকে। প্লাজমা প্রস্তুত করার নিয়ম করার নিয়ম- প্রথমেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ এবং রক্তদানে সক্ষম এরকম ডোনার নির্বাচন করতে হবে। প্লাজমা প্রস্তুত তিন পদ্ধতিতে করা যায়:- ১. এফোরেসিস (Apheresis) ২. প্লাটিলেট রিস প্লাজমা (PRP) ৩. প্লাটিলেট পোর প্লাজমা (PPP) এফোরেসিস পদ্ধতি সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য তবে আমাদের দেশে এই মেশিন খুবই নগন্য তাই অপর দুটি পদ্ধতিও অনুসরণ করা যেতে পারে। #এফোরেসিস:- এফোরেসিস পদ্ধতিতে প্লাজমা সেপারেশনের পূর্বে ব্লাড গ্রুপিং,স্ক্রীনিং,ক্রসমেসিং করতে হয়।সবকিছু ঠিক থাকলে একদিকে ডোনার থেকে ব্লাড সংগ্রহ করা হয় এবং মেশিনের সাহায্যে প্লাজমা আলাদা করা হয় অন্য দিকে রক্তের বাকি উপাদানগুলো (সেল,প্লাটিলেট) পুনরায় ডোনারের শরীরে ঢুকানো হয়।ডোনার থেকে নিদিষ্ট পরিমাণ প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। এফোরেসিস মেশিনে প্লাজমা আলাদা করলে করলে অন্য উপাদানগুলো আবার ডোনারের শরীরে পুনরায় ফেরত দেওয়া যায়। #প্লাটিলেট_রিস_প্লাজমা:- এই পদ্ধতিতে প্লাজমা আলাদার ক্ষেত্রে প্রথমে ডোনারের গ্রুপিং, স্ক্রিনিং,রোগীর সাথে ক্রসমেসিং শেষে, ডাবল ব্লাড ব্যাগে ডোনারের থেকে ৪৫০ মিলিলিটার ব্লাড কালেকশান করতে হয়।ব্লাড ব্যাগটিকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়, নির্দিষ্ট আর.পি.এম এ, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রেফ্রিজারেটর সেন্ট্রিফিউজের সাহায্যে সেন্ট্রিফিউজ করতে হয়। এর পর ব্লাডের উপরের প্লাজমা অংশটুকু দ্বিতীয় ব্যাগে পার করতে হয় বাফি কোট সহ, কেননা বাফি কোটে প্রচুর পরিমাণ প্লাটিলেট থাকে।এই ব্যাগের উপাদাগুলোই প্লাটিলেট রিস প্লাজমা হিসেবে রোগীর জন্য সরবরাহ করা হয়। যে রোগীর প্লাটিলেট কাউন্ট কম তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। #প্লাটিলেট_পোর প্লাজমা:- প্লাটিলেট পোর প্লাজমার এর ক্ষেত্রে প্লাটিলেট রিস প্লাজমার মতো একই নিয়ম, তবে প্লাটিলেট পোর প্লাজমার ক্ষেত্রে ত্রিপল ব্যাগে ব্লাড কালেকশন করতে হবে এবং প্রথমবার সেন্ট্রিফিউজ করার পর দ্বিতীয় ব্যাগে প্লাটিলেট রিস প্লাজমা সংগ্র করে পুনরায় ব্যাগটিকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়, নির্দিষ্ট আর.পি.এম এ, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রেফ্রিজারেটর সেন্ট্রিফিউজের সাহায্যে সেন্ট্রিফিউজ করতে হয় এবং সেন্ট্রিফিউজ শেষে ৫০-৬০ মিলিলিটার প্লাটিলেট কনসেন্ট্রেট রেখে বাকী প্লাজমাগুলো তৃতীয় ব্যাগে পার করতে হয়। আর এই বাকী প্লাজমাই প্লাটিলেট পোর প্লাজমা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সে সকল রোগীর প্লাটিলেটের পরিমাণ স্বাভাবিক তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। সব শেষে একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট সকল ধরণের পরীক্ষানিরীক্ষার রিপোর্ট সহ প্লাজমার ব্যাগ প্রস্তুত করেন। যা প্লাজমা থেরাপি হিসেবে রোগীর শরীরের প্রবেশ করানো হয়। একজন ল্যাবরেটরি মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট কে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে নির্ভুলভাবে এই কাজগুলো করতে হয়।এর একটি সামান্য ভুল হলে রোগীর মৃত্যুর মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে।এমনকি নিজের জীবনের অনেক ঝুকি নিয়ে কাজগুলো করতে হয়। রোগীদের সেবায় নিবেদিত প্রাণ একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট! লেখক- মোঃ মুমিনুর রহমান ল্যাবরেটরি-মেডিসিন আই.এইচ.টি,রাজশাহী। আপনার মতামত দিন : SHARES মেডিকেল টেকনোলজি বিষয়: