করোনাভাইরাসের মাইক্রোস্কোপিক ছবি প্রকাশ

Shakil Shakil

Ahmed

প্রকাশিত: ৪:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০

চীনের উহানে উৎপত্তির প্রায় আড়াই মাস পর নাম দেয়া হয়েছে করোনাভাইরাসের। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা COVID -19 নামে একে ডাকতে নিদের্শনা দিয়েছে।

এবার প্রকাশ পেল COVID -19 তথা নভেল করোনাভাইরাসের মাইক্রোস্কোপিক ছবি।

সম্প্রতি প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ছবি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (এনআইএআইডি)।

সংস্থাটির বৈজ্ঞানিকরা তাদের গবেষণাগারে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। ভাইরাসটি নিয়ে নানা ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাচ্ছেন তারা।

হ্যামিল্টনের রকি পর্বতমালার ল্যাবে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন স্ক্যানিং অ্যান্ড ট্রান্সমিশন ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ দিয়ে তারা করোনাভাইরাসের ছবি ধারণ করেছেন।

আর সে ছবি গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছেন তারা।

এনআইএআইডির মলিকিউলার প্যাথোজেনেসিস ইউনিটের প্রধান এমি ডি উইট প্রথমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর লালা সংগ্রহ করেন। এরপর তা টেস্টটিউবে নিয়ে মাইক্রোস্কোপিস্ট এলিজাবেথ ফিশারকে দেন। তিনি স্ক্যানিং অ্যান্ড ট্রান্সমিশন ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপের নিজে ওই নমুনা ধরলে তাতে জীবাণু ধরা পরে।

এর ছবি ধারণ করে ল্যাবের ভিজ্যুয়াল মেডিকেল আর্ট বিভাগ ওই ছবি রঙিন করা হয়।

এরপরই যে ছবিটি চোখের সামনে আসে তা দেখে আশ্চর্য হন ল্যাবের বিজ্ঞানীরা।

কারণ করোনাভাইরাসের আণবিক চিত্রটি ২০০২ সালের আতঙ্ক সার্স ও ২০১২ সালের মার্স ভাইরাসের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়।

তবে এনআইএআইডি তাদের ব্লগে এর একটি ব্যাখ্যা জানিয়েছেন।

তারা বলছেন, এ ধরনের দ্রুত সংক্রমণযোগ্য ভাইরাসগুলো মাইক্রোস্কোপে প্রায় একইরকম দেখা যায়।

উল্লেখ্য, ভাইরাসটি উৎপত্তির পর থেকেও এর আকার বিষয়ে ধারণা দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। ভাইরাসটির উপরিভাগ কাঁটাযুক্ত করোনাভাইরাস পরিবারের বলে সেসব ভাইরাসের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

তবে এবার যুক্তরাষ্ট্রের হ্যামিল্টনের রকি পর্বতমালার ওই ল্যাবের গবেষকরাই প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের ছবি প্রকাশ করল।

প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে সিওভিআইড-১৯ করোনাভাইরাস। এরপর তা দ্রুত সংক্রমিত হয়ে বিশ্বের অন্তত ২৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। শুক্রবার পর্যন্ত এ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৫২৬ জন। এ সংখ্যায় হংকং, ফিলিপিন ও জাপানের তিনজন রয়েছেন।

সূত্র: দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আপনার মতামত দিন :