করোনা সংক্রমণের মতো উপসর্গ নিয়ে খুলনা মেডিকেলে দুইজনের মৃত্যু

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২০

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত ফেরত একজনসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মতো উপসর্গ থাকলেও পরীক্ষা না হওয়ায় নিশ্চিত হতে পারেননি চিকিৎসকরা। আজ রোববার (২২ মার্চ) এমন খবর দিয়েছে অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘ওই দুইজনেরই করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। কিন্তু পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের পরিবারের লোকজনকে `হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকার পারমর্শ দেওয়া হয়েছে।’

মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ওই দুইজনের মধ্যে একজনের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলায়। ৪৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বৃহপতিবার বেলা ১টার দিকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা ও কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং রাত সাড়ে ৯টায় তার মৃত্যু হয়।

আরেকজনের বাড়ি নড়াইলে। তিনি এক সপ্তাহ আগে ভারত থেকে বাড়ি ফেরেন। এরপর তার মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে স্থানীয়ভাবে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তার মৃত্যু হয়।

মৃতদের নমুনা পরীক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তাদের সীমাবদ্ধতার কারণে মৃত দুজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। মরদেহ স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের পরিচালক রাশিদা সুলতানা বলেন, ‘ভারত থেকে ফেরা ওই ব্যক্তিকে শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিংবা চিকিৎসার কোনো সুযোগ পাইনি। তার শ্বাসকষ্ট ছিল। হার্টের সমস্যাও ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৪ জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছে আইইডিসিআর, মারা গেছে দুইজন।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। এতে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত তিন লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ৯৬ হাজার মানুষ।

বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিন দিন এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সবশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন দুজন।

করোনার বিস্তাররোধে এরই মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর। চারটি দেশ ও অঞ্চল ছাড়া সব দেশ থেকেই যাত্রী আসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মুলতবি করা হয়েছে জামিন ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ছাড়া নিম্ন আদালতের বিচারিক কাজ। এমনকি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলাকে লকডাউনও ঘোষণা করা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন :