করোনা পরীক্ষার কেন্দ্র বাড়ানো হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২০

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষার পরিধি আরো বৃদ্ধি করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এ লক্ষ্যে বেশ কিছু হাসপাতালে পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করা হবে।

বুধবার (১৮ মার্চ ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এফ’ ব্লকের অনকোলজি বিভাগ আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ছাড়াও আরো বেশ কিছু পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করার বিষয়ে কাজ চলছে।  এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বিএসএমএমইউয়’র উপাচার্যের সাথেও আলোচনা হয়েছে। খুব শিগগিরই বিএসএমএমইউসহ আরও বেশকিছু হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বহির্বিশ্বে বিষেশত চীন ও কোরিয়ায় অনেকগুলো পরীক্ষা কেন্দ্র থাকার কারণে সহজে আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। কোরিয়াতে প্রায় ৯০টি পরীক্ষা কেন্দ্র খুলা হয়েছিল। অন্যান্য দেশগুলোতেও বেশি সংখ্যক পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশও একই পদ্ধতিতে কাজ করবে।

বিদেশ থেকে আগতদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন,  এয়ারপোর্টে বিদেশ থেকে আগতদের স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু স্ক্রিনিং দিয়ে জ্বর পরিমাপ করা যায়, করোনাভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব না। পরবর্তীতে যদি জ্বর ও লক্ষণ দেখা যায় তাহলে তা শনাক্ত করা যাবে। বিদেশ থেকে আগতরা যেন সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে থাকেন সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।  বিদেশ থেকে এসে যারা সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন অমান্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের প্রতি আহ্বান, নিজের পরিবার এবং দেশের ক্ষতি করবেন না।

তিনি আরও বলেন, সরকারের ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৫ হাজার লোক সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

দেশে লক ডাউনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপের দেশগুলো লক ডাউনে রয়েছে। আমরাও প্রয়োজনে সে প্রদেক্ষেপ গ্রহণ করবো। ইতিমধ্যে আমরা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছি। সকল ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, জনসমাবেশ এড়িয়ে চলতে জনগণকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এমনকি মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান সংকোচিত করা হয়েছে।

জনগণকে সচেতনতা বাড়াতে সরকার কাজ করছে জনিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘চীনে যখন প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটে তখন জানুয়ারি মাসেই আমরা এ নিয়ে সভা করি। সে সভার মাধ্যমে আমরা তিনটি কমিটি গঠন করি। জাতীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আমাদের কমিটিগুলো কাজ করছে। সম্প্রতি ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিটি করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বাস্থ্য সচিব আলী নূর বলেন, করোনাভাইরাসের সাথে পুরা বিশ্ব যুদ্ধ করছে। পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের থেকে প্রযুক্ত, স্বাস্থ্য এবং সব খাতে অনেক এগিয়ে। তারপরেও তারা এই রোগ কে মোকাবিলা করতে পারছে না। এর মানে এই যে আমরা যতই শক্তিশালী হই না কেন আমাদের শক্তি একটা স্তরে এসে সীমিত হয়ে যায়।  এই শক্তি তখনই কার্যকর করা সম্ভব যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ হব। বিপদ সামনে রয়েছে, বিপদ মোকাবেলায় আমাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়াতে হবে।

আপনার মতামত দিন :