তীব্র গরমে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, আগাম প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা নিউজ নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১১:৪৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৪ গাজীপুরের বাসিন্দা নাজমা তার এক বছরের শিশু আবদুল্লাহকে নিয়ে মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) এসেছেন। তার ছেলের পাতলা পায়খানার সঙ্গে বমিও হচ্ছে। ১৭ বছর বয়সী মইনুদ্দিনও দুদিন ধরে ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি। ফার্নিচারের দোকানে কাজ করা মইনুদ্দিন বলেন, ‘পরশু হোটেলে রাতের খাবার খাই। গতকাল সকাল থকে পেট ব্যথা শুরু হয়। এরপর পাতলা পায়খানা। শরীর অনেক দুর্বল। অবস্থা খারাপ দেখে পরিবারের সদস্যরা এখানে নিয়ে আসেন। এখনো হালকা পেটব্যথা রয়েছে।’ পাশের বেডে থাকা সোহেলও গাজীপুর থেকে এসেছেন তার ১৬ মাস বয়সী সন্তান সামিকে নিয়ে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০ তারিখ বিকেলে হঠাৎ করেই পাতলা পায়খানা শুরু হয়। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খাইয়েছিলাম। কিন্তু এরপরও ঠিক হচ্ছিল না। বাচ্চা বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। পরদিন ভোরেই তাকে কলেরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’ সারাদেশের মানুষেরই তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস অবস্থা। ঘরে কিংবা বাইরে স্বস্তিতে নেই মানুষ। এই গরম থেকে একটু আরামের জন্য মানুষ রাস্তাঘাটে বরফ দেওয়া শরবত খাচ্ছেন। বাইরের খোলা ফলমূলও খাচ্ছেন কেউ কেউ। অনেকে বরফ শীতল বা ঠান্ডা পানি সরাসরি খাচ্ছেন। তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের পাশাপাশি ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগ বেড়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) সরেজমিনে রাজধানীর আইসিডিডিআর,বি বা কলেরা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে স্বজনদের ভিড়। একজন রোগীর সঙ্গে একজনের বেশি স্বজন ঢুকতে দেয় না প্রতিষ্ঠানটি। জরুরি বিভাগে রোগীদের প্রাথমিকভাবে ডায়রিয়া রোগী হিসেবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরপর তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হচ্ছে আসলে রোগী কী ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। এরপর তাদের অবস্থা বিবেচনা করে স্যালাইন দেওয়া কিংবা ভর্তি করানো হচ্ছে। কিছু রোগীকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে বাসায় পাঠাতে দেখা গেছে। আপনার মতামত দিন : SHARES অপরাধ ও অসংগতি বিষয়: