দেশে এক সপ্তাহে শনাক্ত ৬ গুণ, মৃত্যু তিনগুণ বেড়েছে

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২০

উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো জ্যামিতিক হারে বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বাড়ছে। গত ৪ এপ্রিল দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৭০ ও মৃতের সংখ্যা ছিল ৯ জন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ গুণের বেশি ৪২৪ জন ও মৃত তিনগুণ বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (৯ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে ১০ এপ্রিল সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১ হাজার ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হন। একই সময়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়।

করোনাভাইরাসে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩৬৪ জন। সর্বশেষ ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এরপর চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে কেউ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেননি।

সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানী ঢাকা ও দেশের মধ্যাঞ্চল নারায়ণগঞ্জ। আক্রান্ত ও মৃতদের সিংহভাগই এ দুই এলাকার বাসিন্দা।

এদিকে ঢাকার বাইরে থেকে অপ্রয়োজনে যেন কেউ প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই নারায়ণগঞ্জকে লকডাউন করা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ ঘটছে। ১০ এপ্রিল কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার বেশ কয়েক দফায় আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছে। শপিংমল, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও এই সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় করোনা রোগীদের শনাক্তকরণে রাজধানীসহ সাারাদেশে ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধি, আইসিইউ সুযোগ-সুবিধা সংবলিত পৃথক বিশেষায়িত হাসপাতাল চালু, আইসোলেশন ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সুবিধা বাড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বারবার দেশের মানুষকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। অত্যাবশ্যক প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরতে বলছেন।

তারা বলছেন, তাদের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হবে যদি সাধারণ মানুষ পরামর্শ না মেনে ঘরের বাইরে আসে।

জানা গেছে, অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হলে মানুষকে এখন থেকে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা শাস্তি প্রদান শুরু করবেন।

আপনার মতামত দিন :