কুয়েত মৈত্রীর ৬ চিকিৎসক বরখাস্তের আদেশ উদ্বেগজনক: বিএমএ Emon Emon Chowdhury প্রকাশিত: ১০:০৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২০ অননুমোদিতভাবে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের ছয় চিকিৎসককে বরখাস্তের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। সংগঠনটি মনে করে এ ঘটনায় স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে খারাপ বার্তা যাবে। আজ রোববার (১২ এপ্রিল) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এসব কথা জানায় সংগঠনটি। চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি আদেশে কৃয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ৬ চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তের পূর্বে উল্লেখিত কর্মকর্তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। এছাড়া দুইজন চিকিৎসক রোস্টার ডিউটিতে ছিলেন। এতে আরও বলা হয়েছে, বরখাস্ত হওয়া চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী তারা কেউই কোভিড-১৯ রোগী দেখতে অপারগতা প্রকাশ করেননি। সরকারি চাকরি বিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন না এসব চিকিৎসকদের বরখাস্তের আদেশ গোটা চিকিৎসক সমাজকে হতাশ করেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসকগণ অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে যেখানে করোনা মোকাবিলা করছেন সেখানে এ ধরনের আদেশ হঠকারী ও অনভিপ্রেত। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে যে কাউকে অন্য কোথাও বদলি করা যেত, তাদেরকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া যেতো। কিন্তু অকস্মাৎ গণমাধ্যমের এ চাঞ্চল্যকর বিষয়টি বর্তমানে মহামারী আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে খারাপ বার্তা পৌঁছাবে। এতে করা লাভবান হবে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। এ ব্যাপারে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি চিকিৎসক হয়রানির আদেশের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। প্রসঙ্গত, কর্মস্থলে অনুপস্থিতির অভিযোগ গতকাল শনিবার (১১ এপ্রিল) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ডেডিকেটেড রাজধানীর কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের ৬ জন চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আলাদা দুটি আদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বেলাল হোসেন তাদেরকে বরখাস্ত করেন। এক আদেশে বলা হয়েছে, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের টেলিফোনিক নির্দেশে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ১২ মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকৃত চিকিৎসকরা হলেন: জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হীরস্ব চন্দ্র রায়, মেডিকেল অফিসার ডা. ডারহানা হাসনাত, মেডিকেল অফিসার ডা. উর্মি পারভিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. কাওসার উল্লাহ। অন্য এক আদেশে বলা হয়েছে, রোগীদের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে অনিচ্ছা প্রকাশ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের টেলিফোনিক নির্দেশে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ১২ মোতাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শারমিন হোসেন ও আবাসিক চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ ফজলুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। আদেশে আরও বলা হয়েছে, এই আদেশে মহাপরিচালকের অনুমোদন রয়েছে এবং এই আদেশ জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে। ►বিএমএ’র চিঠি আপনার মতামত দিন : SHARES সংগঠন সংবাদ বিষয়: