৫৭ জেলায় করোনার সংক্রমণ, নারায়ণগঞ্জ থেকে ২১ টিতে ছড়িয়েছে ! Ashraful Ashraful Islam Akash প্রকাশিত: ৩:২১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২০ দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫৭টিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত জেলাগুলোর মধ্যে অন্তত ২১টিতে সংক্রমণ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়া লোকজনের মাধ্যমে। আর নারায়ণগঞ্জে সংক্রমণ হয়েছে ইতালি ফেরত প্রবাসীর মাধ্যমে। এদিকে আক্রান্ত অন্য জেলার মধ্যে কয়েকটি সংক্রমণ হয়েছে ঢাকা ও গাজীপুর থেকে যাওয়া করোনা রোগীর মাধ্যমে। বেশ কয়েকটি জেলার সংক্রমণের কারণ স্পষ্ট হওয়া যায়নি। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা ইন্সস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি উঠে এসেছে। বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম তিন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এই তিন জনের দু’জন ইতালি থেকে দেশে এসেছিলেন। তাদের মাধ্যমেই তৃতীয় ব্যক্তির সংক্রমণ হয়। এই তিন জনই নারায়ণগঞ্জের। এরপরই ঢাকা মহানগরীতে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। সেই থেকে মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশের ৫৭ জেলায় করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি, বরিশাল বিভাগের ভোলা, রাজশাহী বিভাগের নাটোর এবং খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুরে করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। টাঙ্গাইলে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ এপ্রিল। ৪৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি মির্জাপুর উপজেলা বৈরাগী ভাওড়া পশ্চিম পাড়া এলাকায়। শনাক্ত হওয়ার তিনদিন আগে তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে মির্জাপুরের বাড়িতে যান। লোকটি নারায়ণগঞ্জে একটি ক্লিনিকে চাকরি করতেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ জেলার করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যা ১৩ জন। গত ১৯ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জেলার প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে উপসর্গ নিয়ে নিজের এলাকায় যান। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হলে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। সিরাজগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তির মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলায় সংক্রমণ হয়। ১১ এপ্রিল তার করোনা পজেটিভ হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান। লালমনিরহাটে প্রথম করোনা পজেটিভ হয় সদর উপজেলায় গোকুন্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়া দহগ্রামের এক বাসিন্দার। তিনি নারায়ণগঞ্জে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। শনাক্ত হওয়ার তিনদিন আগে ৮ এপ্রিল তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসেন। তার করোনার উপসর্গ দেখা দিলে নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে ৩১ বয়সী ওই যুবকের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দিনাজপুর জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১৪ এপ্রিল। একইদিনে জেলার তিনটি উপজেলার ৭ জন করোনা শনাক্ত হয় বলে জানান দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ। আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন হলেন নারায়ণগঞ্জ ফেরত। দু’জন গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তারা স্বামী-স্ত্রী। বাকিদের সংক্রমণের কারণ চিহ্নিত করা যাইনি। চাঁদপুরে প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিটি নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়া। ওই ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে লকডাউনের মধ্যে ৫ এপ্রিল নৌপথে চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানায় শ্বশুরবাড়িতে যান। পরে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে ৯ এপ্রিল তার করোনা শনাক্ত হয়। ওই তরুণের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন সাখাওয়াত উল্লাহ। পিরোজপুরে প্রথম করোনা পজেটিভ হয় মঠবাড়িয়ার এক ব্যক্তির। লকডাউনের মধ্যে তিনি ১০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে পিরোজপুর যান। পরে তার নমুনা পরীক্ষা করলে ১৩ এপ্রিল করোনা পজেটিভ হয়। সিভিল সার্জন হাসনাৎ ইউসুফ জাকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফরিদপুর প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১২ এপ্রিল। আক্রান্ত ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়া। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে ফরিদপুরের নগরকান্দা গেলে তার করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরে পরীক্ষার পজেটিভ আসে। একইদিনে এ জেলায় আরেকজন করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। তিনি ঢাকা থেকে এলাকায় যান। পাবনায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ১৬ এপ্রিল। ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি চাটমোহর উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় টাইলস মিস্ত্রির কাজ করতেন। ওই ব্যক্তি ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনায় গ্রামের বাড়িতে এসে জ্বর, ঠান্ডায় আক্রান্ত হলে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে করোনা ধরা পড়ে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নরসিংদীতে প্রথম করোনা চিহ্নিত ব্যক্তির বাড়ি জেলার পলাশ উপজেলার ইসলামপাড়া গ্রামে। মুফতি শামীম মিয়া নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টে চাকরি করতেন। তিনি ওই গার্মেন্টের মসজিদে ইমামতিও করতেন। করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তিনি নিজেই ৫ এপ্রিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা করান। পরদিন করোনা পজেটিভ জানতে পারেন। তিনি এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয় ২০ এপ্রিল। জেলা শহরের পৌর এলাকার দক্ষিণ চরমোহনপুর এলাকার ওই ব্যক্তি ১৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে এলাকায় আসে। ওই সময় তার কোনও উপসর্গ ছিল না। তবে, নারায়ণগঞ্জ ফেরত হওয়ায় ওইদিনই তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী পাঠানো হলে পজিটিভ আসে। জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক এই তথ্য জানিয়েছেন। বান্দরবানে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় ১৫ এপ্রিল। জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু কোণারপাড়া এলাকায় ওই বাসিন্দা কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জ তাবলিগ থেকে আসেন। আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বয়স ৫৯ বছর। রংপুরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার এক যুবকের। রংপুর মেডিক্যালে নমুনা পরীক্ষা করলে গত ৮ এপ্রিল তার করোনা পজেটিভ হয়। এর আগে ওই যুবক নারায়ণগঞ্জে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১১ এপ্রিল। এ জেলায় একইদিনে তিন জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি হরিপুর উপজেলার। অন্য একজনের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলায়। সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, আক্রান্ত তিন জনই নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। এদের বয়স ২০-২৫ বছরের মধ্যে। নড়াইল জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ১৩ এপ্রিল। জেলার লোহাগড়া উপজেলায় শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে বসবাস করতেন। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করতেন। পটুয়াখালীতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৯ এপ্রিল। বরিশাল বিভাগের মধ্যেও এটি প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনা রোগী। তিনি নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্ট কারাখানায় চাকরি করতেন। করোনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার আগে তিনি মারা যান। ঝালকাঠিতে ১২ এপ্রিল প্রথম তিন জনের করোনা শনাক্ত হয়। তারা তিনজনই একই পরিবারের। স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশু সন্তান। সম্প্রতি তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে ঝালকাঠি যান। নওগাঁর প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিও নারায়ণগঞ্জ ফেরত। আত্রাই উপজেলার এই বাসিন্দার ২০ এপ্রিল কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। এ ব্যক্তি গত ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি আসেন। পরে পরীক্ষার ফলাফলে তার নাম নিয়ে বিভ্রান্তি হওয়ায় আবারও পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়। রাজশাহী জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ১২ এপ্রিল। তার বাড়ি পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া বগুড়াপাড়ায়। কয়েকদিন আগে ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি ট্রাকে করে রাতের আঁধারে বাড়ি ফেরেন। জয়পুরহাটের প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ১৪ এপ্রিল। ওইদিন জেলার দু’জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। আক্রান্তদের বাড়ি জেলার কালাই উপজেলায়। আক্রান্তরা সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে সেখানে যান বলে সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা নিশ্চিত করেন। গাজীপুর জেলার প্রথম করোনা রোগীও নারায়ণগঞ্জ থেকে সংক্রমণ হয়েছে বলে সোমবার জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি জানান, তার জেলায় নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী একটি কারখানার শ্রমিকের শরীরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। ওই কারাখানায় নারায়ণগঞ্জের অনেকে কাজ করেন। তাদের মাধ্যমেই এটা ছড়িয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। অন্যান্য জেলার প্রথম আক্রান্তের মধ্যে পঞ্চগড়, জামালপুর, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম, ফেনীতে ঢাকা থেকে যাওয়া লোকজনের মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এছাড়া কয়েকটি জেলায় আক্রান্ত হয়েছে প্রবাসীদের মাধ্যমে। কয়েকটি হয়েছে গাজীপুর থেকে। এর বাইরে কয়েকটি জেলার সংক্রমণের উৎস নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে, চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দফায় চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। এসময় বেশিরভাগ জেলা থেকেই তাদের এলাকায় করোনা ছড়ানোর জন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জকে দায়ী করেন। কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে এই দুই জেলাতে তারা চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেছেন, বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করে তারা করোনা বিস্তার রোধ করতে পারলেও ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরতদের নিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। জেলা ভিত্তিক আক্রান্ত (২১ এপ্রিল পর্যন্ত) করোনার থাবা সবচেয়ে বেশি পড়েছে রাজধানী ঢাকা মহানগরীতে। এ বিভাগটিতেও আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। আর করোনার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে কম খুলনা বিভাগে। আইইডিসিআর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২১ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৫২ জন। মোট আক্রান্তের ৭২ দশমিক ৫ শতাংশই এ বিভাগে। ঢাকা বিভাগের আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে এক হাজার ২২৯ জন (৩৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ) এবং জেলাগুলোতে এক হাজার ২২৩ জন (৩৬ দশমিক ১৬ শতাংশ)। এছাড়া অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৫ জন (৩ দশমিক ৭০ শতাংশ), সিলেট বিভাগে ১৮ জন (০ দশমিক ৫৩ শতাংশ), রংপুর বিভাগে ৫২ জন (১ দশমিক ৫৪ শতাংশ), খুলনা বিভাগে ৯ জন (০ দশমিক ২৭ শতাংশ), ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৯ জন (২ দশমিক ৯৩ শতাংশ), বরিশাল বিভাগে ৬৫ জন (১ দশমিক ৯২ শতাংশ) এবং রাজশাহী বিভাগে ২১ জন (০ দশমিক ৬২ শতাংশ) আইইডিসিআরের তথ্যানুযায়ী, ঢাকা বিভাগের ঢাকা মহানগরীতে আক্রান্ত এক হাজার ২২৯ জন। আর ঢাকা জেলায় ৪৮, গাজীপুরে ২৬৯, কিশোরগঞ্জে ১৪৬, মাদারীপুরে ২৬, মানিকগঞ্জে ৯, নারায়ণগঞ্জে ৪৬৯, মুন্সীগঞ্জে ৫৪, নরসিংদীতে ১৩৬, রাজবাড়ীতে ১০, টাঙ্গাইলে ১৩, শরীয়তপুরে ৮ ও গোপালগঞ্জে ৩০ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৪১, কক্সবাজারে ৫, কুমিল্লায় ২৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১, লক্ষ্মীপুরে ২৫, বান্দরবানে একজন, নোয়াখালীতে ৪, ফেনীতে ৩ জন ও চাঁদপুরে ১০ জন। রংপুর বিভাগের মধ্যে রংপুরে ৭, গাইবান্ধায় ১৩, নীলফামারীতে ৯, লালমনিরহাটে ২, কুড়িগ্রামে ৩, দিনাজপুরে ১১, পঞ্চগড় ১ ও ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ জন। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে জয়পুরহাটে ৩, পাবনায় ৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১, বগুড়ায় ২, নওগাঁ ১, সিরাজগঞ্জ ২ এবং রাজশাহীতে ৯ জন। সিলেট বিভাগের মধ্যে সিলেট জেলায় ৪, মৌলভীবাজারে ২, সুনামগঞ্জে ১ ও হবিগঞ্জে ১১ জন। খুলনা বিভাগের মধ্যে খুলনা জেলায় ৩, যশোর ১, বাগেরহাট ১, নড়াইলে ২ এবং চুয়াডাঙ্গায় ২ জন। বরিশাল বিভাগের এর মধ্যে বরগুনায় ১৭, বরিশালে ৩২, পটুয়াখালীতে ৭, পিরোজপুরে ৫ ও ঝালকাঠিতে ৪ জন। ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ৪০, জামালপুরে ২২, নেত্রকোনায় ১৮ এবং শেরপুরে ১৮ জন। আইইডিসিআরের তথ্যানুযায়ী, ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সব মিলিয়ে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৩৮২ জন। মারা গেছেন ১১০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৮৭ জন। আপনার মতামত দিন : SHARES স্বাস্থ্য বিষয়: