১২ বছরেও উচ্চ আদালতের ডিএমএফ’দের রায় মানেনি বিএম&ডিসি! Ashraful Ashraful Islam Akash প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২৪ বাংলাদেশের উচ্চ আদালত হইতে ১৪৫৪ হাইকোর্টের রিট মামালার রায় অনুযায়ী ২০১২ সালে বিএমডিসি রেজিস্ট্রারের কাছে রায়ের কাগজ দেখানোর পর তিনি আমাদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদবি দিবেন বলে কথা দেন। কিন্তু পরবর্তীতে নানা জটিলতার কারণে আজও সেই পদবি থেকে বঞ্চিত ডিএমএফ ডিগ্রিধারী চিকিৎসকরা। DMF: Diploma in Medical Faculty এটা এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা বিদ্যায় সারাবিশ্বে স্বীকৃত একটা ডিপ্লোমা ডিগ্রি। অল্টারনেটিভ মেডিসিন (হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুরবেদিক) চিকিৎসা বিদ্যায় সারাবিশ্বে স্বীকৃত যেমন: (Diploma in Homeopathic Medicine and Surgery-DHMS) (Diploma in Unani Medicine and Surgery-DUMS) (Diploma in Ayurvedic Medicine and Surgery-DAMS) ডিপ্লোমা ডিগ্রি আছে, ঠিক তেমনি এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা বিদ্যায় সারাবিশ্বে স্বীকৃত ডিপ্লোমা ডিগ্রি যেমনঃ (Diploma in Medical Faculty-DMF) (Diploma in Medicine & Diploma in Surgery-DMS-foreign diploma degree) (Diploma in Clinical Medicine &Surgery-DCMS-foreign diploma degree) (Diploma in Medicine &Surgery-DMS-foreign diploma degree) (Diploma in Dental Surgery-DDS-undergraduate foreign diploma degree) আছে। ঠিক তেমনি DMF: Diploma in Medical Faculty এটা এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা বিদ্যায় সারাবিশ্বে স্বীকৃত একটা ডিপ্লোমা ডিগ্রি। DMF এর ইতিহাস: ১৭০০ খ্রীষ্টাব্দের শুরুর দিকে আজকের এই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ছিল ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশ। যা উপমহাদেশ নামে পরিচিত ছিল। এই উপমহাদেশটি তিন টি ভাগে বিভক্ত ছিল।প্রথমত: ভারত অনেক গুলো অঙ্গরাজ্যের সমন্বয়ে।দ্বিতীয়ত:পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ)।তৃতীয়ত: পশ্চিম পাকিস্তান(পাকিস্তান)। অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত এ উপমহাদেশ চিকিৎসা বিদ্যায় তেমন কোন উন্নতি সাধন করতে পারেনি। যার কারনে ব্রিটিশরা চিকিৎসা বিদ্যার উন্নতির জন্য এই উপমহাদেশটির কিছু অঙ্গরাজ্য সমূহে “দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি” তৈরী করে চিকিৎসা বিদ্যায় লাইসেন্সশিয়েট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (এলএমএফ কোর্স) মেম্বার অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (এমএমএফ কোর্স) পরিচালনা করেন। যাতে করে এই উপমহাদেশে মধ্যম মানের চিকিৎসক তৈরী করা সহজতর হয়। ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত যখন এদেশে চিকিৎসা বিদ্যায় স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী চিকিৎসক অথবা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কোনটাই ছিল না, তখন ঐ মধ্যম মানের চিকিৎসকেরাই আজকের এই বাংলাদেশের আবহমান জনগোষ্ঠীর মান সম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছেন। অতপর যখন ১৯৪৬ সালে আমাদের দেশে “মেডিকেল কলেজ” স্থাপিত হয় তখন পূর্বের (এলএমএফ কোর্স) ও (এম এম এফ কোর্স) ধারীদের MBBS কোর্স করিয়ে পদন্নোতি দিয়ে মহকুমা হাসপাতাল ও প্রশাসনে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সরকার (এলএমএফ কোর্স) ও (এমএমএফ কোর্স) এর কারিকুলাম অনুসারে Diploma in Medical Faculty (DMF) কোর্স প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক ভাবে অনুমোদন করিয়ে নিয়ে আসেন। যাতে করে এই বাংলাদেশে মধ্যম মানের-ডিপ্লোমা চিকিৎসক তৈরী করা সহজতর হয় এবং বাংলার সকল শ্রেণীর মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হয়। ব্রিটিশদের সৃষ্ট্র মেডিকেল ফ্যাকাল্টি সমূহ যেমন: দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইষ্ট বেঙ্গল, দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ওয়েষ্ট বেঙ্গল, দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ওয়েষ্ট পাকিস্তান, দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইষ্ট পাকিস্তান, দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব পাঞ্জাব, ইত্যাদি এরই ফলস্রুতিতে ১৯১৪ সালে তৈরী হয় “দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইষ্ট বেঙ্গল, এবং ১৯৪৭ সালে তা রূপান্তরিত হয়, দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইষ্ট পাকিস্তান।” পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে, দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইষ্ট পাকিস্তান, রূপান্তরিত হয়” দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব বাংলাদেশ” এ। যেমন (মেডিকেল কলেজের) চিকিৎসা বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি (এমবিবিএস/বিডিএস) সার্টিফিকেট দেয় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন। এবং চিকিৎসা বিদ্যায় (এমএস/এমডি স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সার্টিফিকেটের দেয় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সায়েন্সেস এন্ড রিসার্চ, বর্তমানে বিএসএমএমইউ থেকে। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল(বিএমডিসি)চার ৪ টি ক্যাটাগরিতে (এ্যালোপ্যাথিক) চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন দেয়।১। পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি/পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্থ্যাৎ মাস্টার্স ডিগ্রি-মেডিকেল ও ডেন্টাল(স্বীকৃত মেডকেল শিক্ষাগত যোগ্যতা যেমনঃ এমএস,এমডি,এফআরসিএস,এমপিএইচ,পিএইচডি,ডিও-চক্ষু, ডি-কার্ড ইত্যাদি)। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল(বিএমডিসি)এর তৃতীয় ও চতুর্থ তপসিল অধিভূক্ত।২।গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি/ব্যাচেলর ডিগ্রি/স্নাতক ডিগ্রি-মেডিকেল ও ডেন্টাল[ স্বীকৃত মেডিকেল শিক্ষাগত যোগ্যতা যেমনঃএমবিবিএস,বিডিএস, (এমডি-দেশের বাহিরের)] বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল(বিএমডিসি) এর প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ তপসিল অধিভূক্ত।৩।আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্থ্যাৎ ডিপ্লোমা ডিগ্রি –মেডিকেল[ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাকটিশনার(স্বীকৃত মেডিকেল শিক্ষাগত যোগ্যতা যেমনঃডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি)(ডি.এম.এফ) বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল(বিএমডিসি)এর পঞ্চম তপসিল অধিভূক্ত] ।৪।আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্থ্যাৎ লাইসেন্স,সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমা ডিগ্রি -ডেন্টাল [অনুমোদিত দন্তচিকিৎসক(স্বীকৃত মেডিকেল শিক্ষাগত যোগ্যতা)যেমনঃ যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সমূহ কর্তৃক,এবং যে সকল ব্যক্তি কলকাতা ডেন্টাল কলেজ ও স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব বেঙ্গল কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত লাইসেন্স, ডিপ্লোমাধারী বা সার্টিফিকেটের অধিকারী ।বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল(বিএমডিসি)এর (চতুর্থ তপসিল অধিভূক্ত] এখানে উল্লেখ্য এই যে, উপরোক্ত আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি ছাড়াও সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত ন্যূনতম ৩ তিন বা ৪ চার বছরের ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা(মেডিকেল সায়েন্স-ডেন্টাল সায়েন্স)অএ বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল(বিএমডিসি)তে নিবন্ধনের যোগ্যতা রাখেন। references: www.bmdc.org.bd আপনার মতামত দিন : SHARES আইন-আদালত বিষয়: