অনুদানের মানহীন সুরক্ষা সামগ্রীতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২০

অনেক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে বিতরণ করা চিকিৎসা সামগ্রী ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শহীদুল্লাহ।

আজ বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ কথা বলেন তিনি।

ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীসহ (পিপিই) চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহণ ও বিতরণের তথ্য তুলে ধরেন ডা. মো. শহীদুল্লাহ।

তিনি বলেন, সিএমএসডি (ঔষধাগার) থেকে নির্দিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে যথাযথ মান পরীক্ষা করে রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালে মাস্ক ও গ্লাভস সরবরাহ করা হচ্ছে। সিএমএসডির বাইরে অনেক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে বা অন্য কারও কাছ থেকে সংগ্রহ করে তা স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে বিতরণ করছে। এসব চিকিৎসা সামগ্রী ঘিরে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।

সিএমএসডি পরিচালক বলেন, স্থানীয়ভাবে কেনা কিংবা অনুদানে প্রাপ্ত সামগ্রীর ব্যাপারে চিকিৎসক ও নার্সরা জানেন না বলে (নিম্নমানের সামগ্রীর জন্য) সিএমএসডিকে দোষারোপ করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এগুলো সিএমএসডি থেকে সরবরাহ করা হয়নি।

ডা. শহীদুল্লাহ জানান, গতকাল (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত সিএমএসডি পিপিই সংগ্রহ করেছে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ১৫০টি। বিতরণ করেছে ১১ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮টি। বর্তমানে মজুদ রয়েছে তিন লাখ ২৯ হাজার ৯০২টি।

তিনি বলেন, সিএমএসডি প্রতিদিন গড়ে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার পিপিই গ্রহণ ও বিতরণ করে থাকে। বর্তমানে সিএমএসডি বিভিন্ন গ্রেডের এবং উন্নতমানের পিপিই পাচ্ছে এবং কোভিড-১৯ এর জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতালে বিতরণ করছে। এছাড়া লক্ষাধিক এন-৯৫, কেএন-৯৫, এসইপি-২ ও পি-২ বা সমমানের মাস্ক মজুদ রয়েছে। এগুলো কোভিড হাসপাতাল ও পিসিআর ল্যাবরেটরিতে বিতরণ করা হচ্ছে।

আপনার মতামত দিন :