ওরা টাকা চায় না, খাবার চায়! Arup Arup Sarker প্রকাশিত: ১০:৫৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২০ অরুপ সরকার || নিজস্ব প্রতিবেদক করোনা ভাইরাসের মহামারিতে সুনসান নীরবতা গোটা পৃথিবী সহ সারা দেশ। ঢাকা শহরে যারা পেটের দায়ে টোকাই এর কাজ করত তাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই। এখনো তারা কমলাপুর রেলস্টেশন সহ বিভিন্ন টার্মিনালে খেয়ে না খেয়ে,পানি খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। ছিন্নমূল ক্ষুধার্ত এই মানুষগুলোকে দেখার মতো যেনো কেউ নেই। পুরো রাজধানী ঢাকা যখন ফাঁকা তখন এসব পথশিশুদের দু’মুঠো খাদ্য যোগান দিতে অনেকেই স্বেচ্ছাসেবী হয়ে ছুটে যাচ্ছেন তাদের কাছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়! গত ২৭ মার্চ যুগান্তরে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বর্তমানে ১৫ লাখ পথশিশু রয়েছে। যাদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ পথশিশু রয়েছে শুধুমাত্র রাজধানীতে। এদের অধিকাংশেরই কোনো পরিবার নেই। আবার অনেকেই পরিবার থেকে পালিয়ে কিংবা পরিবারের বাড়তি আয়ের জন্য পথশিশুদের দলে যোগ দেয়। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিকাল ৪ টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তিশ শতাধিক পথশিশু ও ছিন্নমূল মানুষকে খাবার দিয়েছেন “এসো সচেতন হই সোসাইটি”। সমাজকর্মী মোঃ মাজহারল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা অন্যান্য শ্রেণির মানুষের কথা বিবেচনা করে ওদের পাশে এগিয়ে আসছি। যারা বরাবরের মত সবসময়ই অসহায় এই পরিস্থিতিতে আজ ওরা আরো বেশি অসহায়। আজ এসো সচেতন হই সোসাইটি (এসই) থেকে আমি এসেছি, কাল আপনি বা কোন সংঘটন এগিয়ে আসুন। ওরা টাকা চায় না, খাবার চায়! তিনি আরো বলেন,সাধারণ মানুষকে সচেতন করুন, আপনার নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী আপনার পাশের অসহায় একজন মানুষকে হলেও সাহায্য করুন”। উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতিতে “এসো সচেতন হই সোসাইটি” এর এটি চলমান কার্যক্রম, এছাড়াও সংগঠনটি বেশ কয়েকটি পরিবারের বাজার সরবরাহ করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে আরো কঠিন সময় পার করতে হবে এমন ছিন্নমূল মানুষ ও পথশিশুদের। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সব পথশিশুকে নির্ধারিত শেল্টারহোমে রাখার ব্যবস্থা করা জরুরি। আপনার মতামত দিন : SHARES সংগঠন সংবাদ বিষয়: