করোনা: চিকিৎসক-নার্সদের বিমার বদলে নগদ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসনের কেউ আক্রান্ত হলে তাদেরকে স্বাস্থ্য বিমার পরিবর্তে নগদ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে প্রত্যেককে গ্রেড ভেদে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা করে দেয়ার কথা রয়েছে। আর তাঁদের কেউ মারা গেলে ওই পরিবারকে দেওয়া হবে ২৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) অর্থ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একটি পরিপত্র জারি করেছে, যা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

পরিপত্রে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত রোগীর সেবা দেওয়ার কাজে সরাসরি কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও প্রত্যক্ষভাবে এ করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্য কর্মচারীরা এ সুবিধা পাবেন। দায়িত্ব পালনকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরাসরি এ আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।

কোন গ্রেডে কত ক্ষতিপূরণ :

গ্রেডভেদে ক্ষতিপূরণ উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, ১ম-৯ম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন ১০ লাখ টাকা। মারা গেলে পাবেন ৫০ লাখ টাকা। ১০-১৪তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা। মারা গেলে পাবেন সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা। ১৫-২০তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাঁচ লাখ আর মারা গেলে ক্ষতিপূরণ পাবেন ২৫ লাখ টাকা। ২০১৫ এর বেতনস্কেল অনুযায়ী এ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় কারা যোগ্য :

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানে সরাসরি কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এরা দায়িত্ব পালনকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরাসরি আর্থিক সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধন্ত নেয়া হয়েছে।

ক্ষতিপূরণ পেতে মানতে হবে কয়েকটি ধাপ :

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তবে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস পজেটিভের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস পজেটিভের প্রমাণিক বা মেডিক্যাল রিপোর্টসহ স্ব-স্ব নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপরে কাছে নির্দিষ্ট ফরমে ক্ষতিপূরণের দাবিনামা পেশ করবে। আর মৃত্যুবরণ করলে নির্দিষ্ট ফরমে মৃত্যুবরণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্ত্রী/স্বামী/ সন্তান এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে বাবা/মা ক্ষতিপূরণের দাবি সংবলিত আবেদন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপরে কাছে পেশ করবে।

নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মাধ্যমে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাবে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ ও ১৩ এপ্রিল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি প্রশাসনের মাঠপর্যায়ের কর্মচারীসহ প্রত্যক্ষভাবে দায়িত্ব পালনকারীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমার কথা বলেছিলেন। কিন্তু প্রিমিয়াম দেওয়ার জটিলতার কারণে সরকার বিমার বদলে সরাসরি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

আপনার মতামত দিন :