শারীরিক অসুস্থতা নয়, বরং করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণে গত ১৫ এপ্রিল সরকারি সাধারণ ছুটির দিনে উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও দাদা কিম ইল-সুংয়ের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন দেশটির নেতা কিম জং-উন। তার রহস্যময় আড়ালে থাকা নিয়ে সৃষ্ট গুঞ্জনের পরিপ্রেক্ষিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তর কোরিয়া বিষয়ক মন্ত্রী ইয়ন-চুল। পশ্চিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘কিম মারাত্মক অসুস্থ’ বলে খবর হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা অবশ্য শুরু থেকেই এসব প্রতিবেদনের তথ্য প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স

দাদার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কিম জং-উনের অনুপস্থিতির এ ঘটনা বিরল; সেদিন থেকেই তাকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। গত কয়েকদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন ছড়িয়েছে। মার্কিন কিছু সংবাদমাধ্যম উত্তর কোরিয়ার এই নেতার মৃতু্যরও খবর দিয়েছে।

তবে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়ায় কোনো ধরনের অস্বাভাবিক কার্যক্রম শনাক্ত করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। এছাড়া কিমের অসুস্থতার খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়।

মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে মন্ত্রী ইয়ন চুল বলেন, এটা সত্যি যে, ক্ষমতায় আসার পর থেকে কিম ইল-সুংয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কখনো অনুপস্থিত ছিলেন না কিম। কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণে বেশ কিছু অনুষ্ঠান এবং ভোজ বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে এখন পর্যন্ত কিম অন্তত দুই বারের জন্য প্রায় ২০ দিনের মতো দেখা যায়নি। আমি মনে করি, বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এটি বিশেষ অস্বাভাবিক কিছু নয়।’

অন্যদিকে, কিম জং-উন কী করছেন সে ব্যাপারে ভালো ধারণা আছে বলে সোমবার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, কিম ভালো আছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, তিনি কিমের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে অবগত আছেন। উত্তর কোরিয়ার নেতার শারীরিক অবস্থার উন্নতির দিকে গভীর দৃষ্টি রাখছেন তিনি।

এদিকে, উত্তর কোরিয়া বিষয়ক পর্যবেক্ষক গ্রম্নপ ‘কোরিয়া রিস্কের’ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চাদ ও ক্যারোল বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে কিম যদি আত্মগোপনে থাকেন; তাহলে এই দেশটি কীভাবে করোনা সংকট মোকাবেলা করবে?

সূত্রঃ যাযাদি।