করোনায় শিশু স্বাস্থ্য সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারীর ফলে শিশুদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান এবং নিয়মিত কর্মসূচিসমূহের উপর নেতিবাচক প্রভাব তীব্র উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের দ্বিতীয় নিয়মিত অধিবেশনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিশুদের প্রয়োজনীয় সেবা দান এবং নিয়মিত কর্মসূচিগুলো অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে করোনা মহামারীর প্রভাব তীব্র উদ্বেগের একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এই মহামারিকে শিশুদের সংকটে পরিণত হতে দিতে পারি না। নজীরবিহীন এই সংকট মোকাবিলায় কর্মসূচি গ্রহণের ক্ষেত্রে ইউনিসেফকে সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও উদ্ভাবনশীল সমাধানের আহ্বান জানানা তিনি।

করোনার প্রভাবে ৮০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু চরম দারিদ্র্যের মুখোমুখি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৮০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু চরম দারিদ্র্যের মুখোমুখি দাড়িয়েছে। ১.৬ বিলিয়ন শিশু স্কুলের বাইরে রয়েছে। আর ১ বছরের কম বয়সী ৮০ মিলিয়ন শিশু জীবনরক্ষাকারী ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। করোনার ফলে ক্ষুধার্ত শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ মিলিয়নে। বিশ্বজুড়ে ইউনিসেফের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিবেদিত সেবাদানের মাধ্যমে অস্বাভাবিক এই পরিস্থিতিতে যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ জানান ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি।

এ সময় ইউনিসেফের পাশাপাশি জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপরও জোর দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

চলতি অধিবেশনে ইউনিসেফের ‘কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডকুমেন্ট’ গুলোর বিষয়বস্তু ‘শিক্ষা’ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনলাইন ও দূরশিক্ষণে প্রবেশাধিকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান নির্বাহী বোর্ড সভাপতি। প্রতিটি স্কুলকে ইন্টারনেটের সঙ্গে এবং প্রতিটি যুবককে তথ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রয়াসে গৃহীত ইউনিসেফ ও আইটিইর যৌথ পদক্ষেপ ‘গিগা’ এর সফলতার কথা তুলে ধরে তিনি সব অংশীদারকে মহৎ এই কাজে তাদের দক্ষতা ও আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

করোনায় মেয়েরা বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে মেয়েদের অগ্রগতি নিশ্চিত, মর্যাদা রক্ষা ও নিগ্রহ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নারী শিক্ষায় আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান রাবাব ফাতিমা। লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্য এবং ঋতুজনিত স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে সচেতনতা ও সুবিধার অভাবসহ এ জাতীয় নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা দূর করে নারী ও মেয়েদের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। এছাড়া পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধের বিষয়টিতে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেন।

আপনার মতামত দিন :