মসজিদ খোলার ঘোষণা থেকে সরে এলেন গাজীপুরের মেয়র

প্রকাশিত: ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২০

বুধবার নতুন এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, আমি আমার প্রত্যেকটি নাগরিককে, গাজীপুর নগরের প্রত্যেকটি নাগরিককে অনুরোধ করব, আপনারা সরকার এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে, মসজিদে আপনারা সীমিত আকারে নামাজ পড়বেন, সেই নামাজটা পড়ার জন্য আমি আপনাদের অনুরোধ করছি।”

সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে যোগাযোগ করার পর নিজের বক্তব্য এক দিনের মাথায় প্রত্যাহার করে নিলেন মেয়র জাহাঙ্গীর।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত ৬ এপ্রিল দেশের সব মসজিদে বাইরে থেকে মুসল্লি ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। বলা হয়, ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মসজিদের খাদেমরা মিলে পাঁচজনের জামাত হবে। রোজা শুরুর পর তারাবির জামাতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ১২ জনে উন্নীত করা হলেও বাইরে থেকে কারও ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা ওঠেনি।

বাংলাদেশে যে সব এলাকায় কোভিড-১৯ রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে, তার একটি হল শিল্প এলাকা গাজীপুর। পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ায় সেখানে ভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়াতে পারে বলে এমনিতেই উদ্বেগ রয়েছে।

এই ঝুঁকির মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুরে সিটি কর্পোরেশনের বোর্ড বাজার আঞ্চলিক অফিস থেকে ফেইসবুকে এক ভিডিও বার্তায় মসজিদ খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, “গাজীপুর মহানগরীতে মাত্র কয়েকটি এলাকায় করোনাভাইরাস (রোগী) রয়েছে। বাকিগুলো পাশের উপজেলাগুলোতে অবস্থান করছে।

“যেহেতু গাজীপুরের গার্মেন্টসগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে, তাই এ রমজান মাসে এখন আর মসজিদে অল্প সংখ্যক মুসল্লিদের জন্য সীমাবদ্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। শুক্রবারের জুমার নামাজ ও রমজানের তারাবির নামাজে মুসল্লিগণ অংশ নিতে পারবেন। এতে সিটি কর্পোরেশনের কোন বাধা থাকবে না।”

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মসজিদ বা উপসনালয়ে প্রার্থনার বিষয়ে ঘোষিত সরকারি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার এখতিয়ার আমাদের কারো নেই। এটার পরিবর্তন করতে হলে সরকারের তরফ থেকেই তা আসতে হবে।”

সরকারের আগের নির্দেশনা মেনেই গাজীপুরের মসজিদগুলোতে নামাজ হবে জানিয়ে এ মহানগরের পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “প্রতি ওয়াক্তের নামাজে ৫ জন করে, জুমার নামাজে ১০ জন করে এবং তারাবির নামাজে ১২ জন নিয়ে জামাত করা যাবে। বাইরের কেউ আসতে পারবে না।”

আপনার মতামত দিন :