সীমিত পরিসরে বিএসএমএমইউর ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২০

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ২৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল দেশের ‘প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বেই মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে এ বছর সমাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।

এ বছর দিবসটির শ্লোগান নির্ধারিত হয়েছে- “মানব শত্রু ভাইরাস করোনা-এই যুদ্ধে বাংলাদেশ হারবে না”

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বি-ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বি-ব্লকের সামনে গোল চত্ত্বর জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শুভানুধ্যায়ীসহ শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারীদের সেলফোনে/ অনলাইনে শুভেচ্ছা বাণী পৌঁছে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণাকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে হবে। কোভিড-১৯-এর কারণে এবছর সীমিত আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব আজ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন আমরা জয়ী হয়েছিলাম ঠিক তেমনি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে আমরা করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি। এই যুদ্ধে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সেবা কর্মীরা হচ্ছেন অগ্রবর্তী বাহিনী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরো জাতি আমাদের সাথে আছে। এই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য  (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, শিশু অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী  ইয়াকুব জামাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ প্রমুখ।

আপনার মতামত দিন :