‘পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় ওষুধের দাম ও উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে’

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মে ৯, ২০২০

পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় দেশব্যাপী চলমান লকডাউনের মধ্যেও ওষুধের দাম ও উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ডেইলি স্টার’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশব্যাপী চলমান লকডাউনের কারণে যখন অনেক খাতেই স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে, তখনও স্বাভবিক রয়েছে দেশের ওষুধ খাত। এমন সময়ে ওষুধের স্বাভাবিক উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা কঠিন ছিল। কিন্তু সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা থাকায় কোনো ধরনের বাধা-বিঘ্নতা ছাড়াই ওষুধের দাম ও উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে। এর পেছনে অবদান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। দেশে ফার্মাসিউটিক্যালই একমাত্র সেক্টর যারা সফলভাবে এ সংকট মোকাবিলা করতে পেরেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগেই কয়েকটি কোম্পানি সীমিত পরিসরে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন উৎপাদন করতো। কিন্তু বর্তমানে অন্তত ৩৫টি কোম্পানি তা উৎপাদন করছে। এছাড়া দেশের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। যেনো করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হলে সহজেই এটি দেশে উৎপাদন ও সরবরাহ করা যায়।

করোনা চিকিৎসায় সীমিত পরিসরে ব্যবহার করা রেমডেসিভির ও ফেভিপিরাভিরের মতো কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ উৎপাদনেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী ২০ মের মধ্যে রেমডেসিভির বাজারে আসবে। ইতোমধ্যে দুইটি কোম্পানি এটির উৎপাদনে কাজ শুরু করেছে। কোম্পানিগুলো যাতে সর্বাধিক উৎপাদন করতে পারে এবং আরও উদ্যোক্তারা যাতে উৎপাদনে এগিয়ে আসে যে জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতা করছে ওষুধ প্রশাসন।

এসময় দেশে করোনা পরিস্থিতে সম্মুখে থেকে কাজ করা করোনাযোদ্ধা চিকিৎসকদের উৎসাহ দিতে, তাদের নিয়ে তথ্যপূর্ণ ও ইতিবাচক প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।

উল্লেখ্য, দেশে প্রচলিত ওষুধ সম্পর্কিত সব নিয়মকানুন তদারকি ও প্রয়োগ করে থাকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ওষুধ আমদানি, রপ্তানি, অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজসহ কাঁচামাল ও মোড়কীকরণের সামগ্রী সংগ্রহ সংশ্লিষ্ট সব কাজও এই অধিদপ্তরই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

আপনার মতামত দিন :