করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ১৩ দফা স্বাস্থ্যবিধি প্রণোয়ন

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২০

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি প্রণোয়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে ১৩টি  জনগুরুত্বপূর্ণ নির্দিশনা দেয়া হয়েছে।

রোববার (১২ মে) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব মো. মাইদুল ইসলাম প্রধানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সোমবার (১১ মে) দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব এবং ব্যাপক বিস্তার রোধে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয় ও অধিনস্ত দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি পালনের জন্য ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাসমূহ হচ্ছে:

ক. প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবানুমুক্তকরণ ট্যানেল স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে।
খ. অফিস চালু করার পূর্বে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ, আঙ্গিনা ও রাস্তাঘাট জীবানুমুক্ত করতে হবে।
গ. প্রত্যেক মন্ত্রণালয় বা বিভাগে প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার, থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে।
ঘ. অফিসের কাজে ববহ্নত পরিবহনসমূহ অবশ্যই শতভাগ জীবানুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পারিক ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সকলকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
ঙ. সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার ব্যবহার করা যাবে। কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিস্কার করে পুণরায় ব্যবহার করা যাবে।
চ. যাত্রার পূর্বে এবং যাত্রাকালীন পথে বার বার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করতে হবে।
ছ. খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব (ন্যূনতম তিন ফুট) বজায় রাখতে হবে।
জ. প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দ্বারা জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে।
ঝ. অফিসসমূহে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
ঞ. কর্মস্থলে সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং ঘন ঘন সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করতে হবে।
ট. কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের করোনা (ঈঙঠওউ-১৯) প্রতিরোধে বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলছে কিনা তা মনিটরিং করতে হবে। ভিজিলেন্স টিম এর মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
ঠ. দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
ড. কোন কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয় গত ৮ মার্চ। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৭ মার্চ সরাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ২৬ মার্চ সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। পরবর্তীতে তা বড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন :