আরেক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত Shakil Shakil Ahmed প্রকাশিত: ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০ সিঙ্গাপুরে আরও এক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে (কোভিড–১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট পাঁচজন বাংলদেশি এই ভাইরাসের শিকার হলেন। সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শনিবার দ্য স্ট্রেইট টাইমস এ কথা জানিয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশিরা সিঙ্গাপুরে একটি নির্মাণাধীন প্রকল্পের কর্মী। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে বলেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সর্বশেষ বাংলাদেশি ২৬ বছর বয়সী এক তরুণ। সম্প্রতি তিনি চীন সফর করেননি। নতুন এ রোগীসহ এই ভাইরাসে সিঙ্গাপুরে শনিবার পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৭২। এর মধ্যে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুস্থ হওয়ায় ১৮ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এর আগে সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত চার বাংলাদেশির অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। আক্রান্ত একজন সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ বা এনসিআইডিতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। বাকি তিনজনের এই হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে। তাঁদের সঙ্গে কাজ করতেন বা মেলামেশা করেছেন, এমন আরও ছয় বাংলাদেশিকে কোয়ারেন্টাইন (আলাদা করে পর্যবেক্ষণ) করে রেখেছে সিঙ্গাপুর সরকার। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে অজ্ঞাত জ্বরে মানুষ আক্রান্ত হতে থাকে। ৩১ ডিসেম্বর বিজ্ঞানীরা জানান, একেবারে নতুন একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে এই জ্বর হচ্ছে। তবে গত দেড় মাসে নতুন এই ভাইরাস সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। অবশ্য কিছু বিষয়ে তাঁরা নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছেন। প্রথমত, ভাইরাসটির উৎপত্তি কোনো জীব থেকে। মধ্যবর্তী বাহকের মাধ্যমে তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে। এখন মানুষ থেকে তা মানুষে ছড়াচ্ছে। ভাইরাসের জিনের গঠন পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়ায় এমন ভাইরাসের সঙ্গে এর মিল অনেক। আপনার মতামত দিন : SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়:
সিঙ্গাপুরে আরও এক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে (কোভিড–১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট পাঁচজন বাংলদেশি এই ভাইরাসের শিকার হলেন। সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শনিবার দ্য স্ট্রেইট টাইমস এ কথা জানিয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশিরা সিঙ্গাপুরে একটি নির্মাণাধীন প্রকল্পের কর্মী। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে বলেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সর্বশেষ বাংলাদেশি ২৬ বছর বয়সী এক তরুণ। সম্প্রতি তিনি চীন সফর করেননি। নতুন এ রোগীসহ এই ভাইরাসে সিঙ্গাপুরে শনিবার পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৭২। এর মধ্যে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সুস্থ হওয়ায় ১৮ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এর আগে সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত চার বাংলাদেশির অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। আক্রান্ত একজন সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ বা এনসিআইডিতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। বাকি তিনজনের এই হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে। তাঁদের সঙ্গে কাজ করতেন বা মেলামেশা করেছেন, এমন আরও ছয় বাংলাদেশিকে কোয়ারেন্টাইন (আলাদা করে পর্যবেক্ষণ) করে রেখেছে সিঙ্গাপুর সরকার। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে অজ্ঞাত জ্বরে মানুষ আক্রান্ত হতে থাকে। ৩১ ডিসেম্বর বিজ্ঞানীরা জানান, একেবারে নতুন একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে এই জ্বর হচ্ছে। তবে গত দেড় মাসে নতুন এই ভাইরাস সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। অবশ্য কিছু বিষয়ে তাঁরা নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছেন। প্রথমত, ভাইরাসটির উৎপত্তি কোনো জীব থেকে। মধ্যবর্তী বাহকের মাধ্যমে তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে। এখন মানুষ থেকে তা মানুষে ছড়াচ্ছে। ভাইরাসের জিনের গঠন পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়ায় এমন ভাইরাসের সঙ্গে এর মিল অনেক।