করোনাভাইরাস নিয়ে শরয়ী গবেষণা চালাচ্ছে সৌদি আরব Emon Emon Chowdhury প্রকাশিত: ৯:১২ পূর্বাহ্ণ, মে ১৫, ২০২০ মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর প্রতিষেধক, টিকা ও ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টাও চলছে জোরেশোরে। করোনাভাইরাসের জেরে ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় তিন লাখ, আক্রান্ত ৪৩ লাখেরও বেশি। শুধু আমেরিকায় মৃত্যুর সংখ্যা ৮৩ হাজারের বেশি, আক্রান্ত ১৪ লাখ। আর সৌদি আরবে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৮৩০, মৃত্যুর সংখ্যা ২৭৩, সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৬২২ জন। বৈশ্বিক এ মহামারির থাবায় নাকাল পুরো পৃথিবী। মানুষের জীবনে নানা পরিবর্তন এনেছে করোনা, এটি অর্থনৈতিক ভিতকে যেমন নড়বড়ে করে দিয়েছে, তেমনি মুসলমানদের ধর্মীয় জীবনে নতুন কিছু সমস্যা তৈরি করেছে। বাহ্যত সবার পক্ষে সেসবের সমাধান সম্ভব না হলেও ইসলামি শরিয়ত ঠিকই সেসবের সমাধান বিজ্ঞ ব্যক্তিদের মাধ্যমে রেখেছেন। করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় মুসলিম হিসেবে একজন মানুষের করণীয় এবং এটা থেকে উত্তরণের জন্য যা যা করতে হবে- এ বিষয়গুলো নিয়ে সৌদি আরবের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিজ দেশ ও দেশের বাইরের আগ্রহী গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগতভাবে আগ্রহী গবেষকদের কাছে গবেষণা চেয়েছিল। তারা প্রচুর সাড়াও পেয়েছে। সৌদি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রাজ্ঞ ও বিজ্ঞ আলেমদের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক বাছাই শেষে এখন চলছে চূড়ান্ত বাছাই পর্ব। গ্রহণকৃত গবেষণার সংখ্যা ১৪০টি। ইতোমধ্যে কমিটি তাদের কাছে প্রেরিত গবেষণা যাচাই-বাছাই শুরু করেছেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আলে শায়েখের তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় কাজটি চলমান। আশা করা হচ্ছে, ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে করোনা বিষয়ে এসব গবেষণা মানুষের জীবনে বিশেষ করে মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগি থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে বেশ উপকার বয়ে আনবে। এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির পাঁচ দিন সৌদি আরবজুড়ে ২৪ ঘণ্টার কারফিউ জারি থাকবে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। রমজান মাসের শেষভাগে ২৩ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এ কারফিউ। ঈদ উদযাপনের সময় করোনা সংক্রমণ যাতে না বাড়ে, তা নির্দিষ্ট করতেই এমন পদক্ষেপ। তার আগ পর্যন্ত সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য এখনকার মতো খোলা থাকবে। এখন স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্বাভাবিক চলাফেরায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। শুধু মক্কায় জারি আছে কড়া কারফিউ। এর আগেও দিনব্যাপী কারফিউ জারি করা হয়েছিল সৌদি আরবে। কিন্তু রমজান মাসে এই কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অঞ্চলগুলোর জন্য জারি রাখা হয় বিধিনিষেধ। জিসিসি অর্থাৎ গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের সদস্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবেই সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। আপনার মতামত দিন : SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: