জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম আর নেই Shaber Hossain Shaber Hossain Chowdhury প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৭, ২০২০ ঢাকা: জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ও অ্যাডভোকেট মমতাজ বেগম আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন) । শনিবার (১৬ মে) দিনগত রাতে ঢাকার ভুতের গলি এলাকায় তার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, অধ্যাপক মমতাজ বেগম বিগত কয়েকদিন বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, এক মেয়ে, এক ছেলে, আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৭ মে) বাদ যোহর ঢাকার ভুতের গলি জামে মসজিদে জানাজা শেষে ঢাকায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এদিকে অধ্যাপক ও অ্যাডভোকেট মমতাজ বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা এক শোকবার্তায় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম ছিলেন একজন মহিয়সী নারী। তিনি ভাষা ও ছয় দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ছিলেন গণপরিষদের সদস্য ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব কাছে থেকে রাজনীতি করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান জাতি গৌরবের সঙ্গে স্মরণ করবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ’৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনের জন্য ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠিত হলে মমতাজ বেগম সেই বোর্ডের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশে নারী আন্দোলন ও নারীর ক্ষমতায়নে তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। আমৃত্যু তিনি এদেশে নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। সেই শূন্যস্থান পূরণ হওয়ার নয়। আপনার মতামত দিন : SHARES Uncategorized বিষয়: