ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একীভূত মন্ত্রিসভায় অনুমোদন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইনের খসড়া Jewel Das Jewel Das Guptha প্রকাশিত: ৫:১৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০ শিশুদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একীভূত করে একুশটি ধারাসংবলিত ‘বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে (পিএমও) গতকাল সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন প্রদান করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গতকাল বিকালে সচিবালয়ে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৭ সালে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত শিশু হাসপাতালটি পরিচালনায় এতদিন কোনো আইন ছিল না, বরং পূর্বের একটি অধ্যাদেশ অনুযায়ীই এটি চলছিল। কাজেই হাসপাতালটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে উক্ত অধ্যাদেশের আলোকে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়নের জন্যই খসড়াটি অনুমোদন করা হয়েছে। এই হাসপাতালে দরিদ্র এবং অসচ্ছলদের জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, উক্ত আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সরকার একজন চেয়ারম্যানসহ ১২ সদস্যবিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করবে। এছাড়া একজন পরিচালক থাকবেন যিনি প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি জানান, মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সহযোগিতা চুক্তির খসড়াও অনুমোদন করেছে। এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যে কোনো ধরনের ভাইরাস স্ক্রিনিংয়ে সক্ষম এক ধরনের বিশেষ প্রযুক্তি শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশকে প্রদানের প্রস্তাব করেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। তিনি বলেন, এই নতুন প্রযুক্তি দেশের বিমানবন্দরগুলোতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করার জন্য স্থাপিত প্রযুক্তির সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে সংযুক্ত হবে। যদিও কোরিয়া সরকার লিখিতভাবে এখনো এই প্রস্তাব করেনি। আনুষ্ঠানিক পত্র পাওয়ার পরই বিষয়টি বিশদভাবে গণমাধ্যমকে জানানো হবে। এছাড়াও গত ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ‘আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক’ এবং ‘জায়েদ সাটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ এবং তার সভাপতিত্বে ‘রাষ্ট্রদূত সম্মেলন’ এর আয়োজন সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। আপনার মতামত দিন : SHARES জাতীয় বিষয়: