শহীদ জিয়া মেডিকেলের অধ্যক্ষ পদে ডা. রেজাউল আলম পুনর্বহাল

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৫:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) পদে পুনর্বহাল হয়েছেন অধ্যাপক (চ. দা.) ডা. মো. রেজাউল আলম।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পারসোনাল-১ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার/স্বাস্থ্য সার্ভিসের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাকে নামের পাশে বর্ণিত কর্মস্থলে পদায়ন করা হলো।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা এ প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

অধ্যাপক (চ. দা.) ডা. মো. রেজাউল আলম একই মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালে ওই মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ডা. রেজাউল আলম জুয়েল।

তৎকালীন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব নান্নু স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক হিসেবে ঢাকায় বদলি হলে পদটি শূন্য হয়। এরপর ডা. রেজাউল আলম তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।

ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

তখন কলেজের একটি সূত্র জানায়, সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল খুব শিগগিরই অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতে যাচ্ছেন। এ সংক্রান্ত একটি ফাইল মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে। পদোন্নতি পেলে তাঁর পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণের পথটি সুগম হবে।

ডা. রেজাউল আলমের বেড়ে ওঠা 

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের দাহিলা গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল আজিজ সরকার এবং হাজেরা খাতুনের ৬ ছেলে-মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডা. রেজাউল আলম। তিনি শিবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে এসএসসি পাস করেন।

১৯৮৫ সালে তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯২ সালে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবন 

১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে যোগদান করেন। চাকরিরত অবস্থাতেই তিনি ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থোপেডিক্সে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তার প্রায় দুই বছর পর ২০০৯ সালের মার্চে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন। তারও ছয় বছর পর ২০১৪ সালের মার্চে ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন তিনি।

ডা. রেজাউল আলম বগুড়ার মানুষের কাছে ‘ডা. জুয়েল’ নামেই সর্বাধিক পরিচিত।

পেশাজীবী নেতা হিসেবেও সমান জনপ্রিয় 

অধ্যাপক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি সমানতালে চিকিৎসকদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বগুড়া শাখারও সাধারণ সম্পাদক।

আপনার মতামত দিন :