দেশ করোনায় মৃত্যুর ঘটনা যেনো কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চার হাজার ৫৯৩ জনে। এ সময়ে নতুন করে আরও এক হাজার ৮২৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে সারাদেশের ৯৪টি পরীক্ষাগারের নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৭৯২টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৪ হাজার ৭৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫২টি। এতে নতুন করে আরও এক হাজার ৮২৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৩১ হাজার ৭৮ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করা ৪১ জনের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ১২ জন নারী রয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়, ৩ জন বাড়িতে এবং দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে দশ বছরের নিচে একজন, বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২৪ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনায় মৃতদের পুরুষ তিন হাজার ৫৮২ (৭৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ১১ জন (২২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ)।

এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৯৫ জন। ফলে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৮০৪ জনে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস পৃথিবীজুড়ে মহামারীতে রূপ নেয়। ভাইরাসটিতে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৭৬ লাখের অধিক মানুষ। মৃতের সংখ্যা নয় লাখের অধিক। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ২ কোটি মানুষ। বাংলাদেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়ে গত ৮ মার্চ। এরপর ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।