মুগদা মেডিকেলে চার দিন ধরে করোনা পরীক্ষা বন্ধ Emon Emon Chowdhury প্রকাশিত: ১:২২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০২০ করোনা পরীক্ষার আরটি পিসিআর মেশিন অকেজো হওয়ায় গত রবিবার (০৬ ডিসেম্বর) থেকে চার দিন যাবৎ করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাসপাতালে নমুনা দিতে আসা মানুষ। ফিরে যেতে হয়েছে নমুনা না দিয়েই। তবে দ্রুততম সময়ে সমস্যা সমাধান করে পুনরায় পরীক্ষা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুগদা হাসপাতালের আরটি-পিসিআর মেশিনে কয়েকদিন ধরে সমস্যা হওয়ায় সেটি নির্ধারিত কোম্পানীর কাছে ঠিক করতে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মেরামত সম্ভব হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক বলেন, আজ বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিনের মতো হাসপাতালের করোনা ল্যাবে সাধারণ মানুষের নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে আনা হচ্ছে। পরীক্ষা বন্ধের ব্যপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. রওশন আনোয়ারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে যোগাযোগ করা হয় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও কোভিড-১৯ ল্যাব ইনচার্জ ডা. আসিফ রাশেদের সঙ্গে। ডা. আসিফ রাশেদ বলেন, ‘মেশিন ডিস্টার্ব দেওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই মেশিনগুলো কিন্তু ডেইলি ইউজের মেশিন না। এগুলো খুবই পরিশীলিত মেশিন। বর্তমান মহামারীতে এসব মেশিনে ধারনক্ষমতার বেশি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া মেশিনের নির্ধারিত কোম্পানী ইতোমধ্যে জানিয়েছে যে, মেশিনের ধারণক্ষমতার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি পরীক্ষা করা হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘এই মহামারীতে সকল পিসিআর ল্যাবেই কম বেশি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চলতি সপ্তাহে সিলেট ও বরিশাল মেডিকেলে করোনা পরীক্ষা বন্ধ ছিল। সুতরাং এটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেকটাই স্বাভাবিক।’ কবে নাগাদ পরীক্ষা চালু হবে এমন প্রশ্নে কোভিড-১৯ ল্যাব ইনচার্জ ডা. আসিফ রাশেদ বলেন, ‘সরবারহ কোম্পানীকে জানোনোর পর তারা হার্ডওয়্যারের সমস্যা হতে পারে বলে জানায়। পরে মেরামতের জন্য মেশিন নিয়ে গেলে হার্ডওয়্যার নয় বরং অন্য পার্টেসে সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। ফলে সাময়িকভাবে হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। সচল মেশিনে প্রতিদিন ১৮৮টা নমুনা পরীক্ষা হত।’ মেরামত হলেই আগামী সপ্তাহের শুরুতে পুনরায় নমুনা নেওয়া শুরু হবে বলে জানান ডা. আসিফ রাশেদ। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোন হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠানে দৈনিক কত নমুনা পরীক্ষা হলো, তার তালিকা থাকে। কিন্ত গত ৮ ডিসেম্বর থেকে অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মুগদা হাসপাতালের করোনার নমুনা পরীক্ষা শূন্য দেখানো হচ্ছে। আপনার মতামত দিন : SHARES জাতীয় বিষয়: