করোনার কারণে দিনে প্রায় ১৫০ লাখ লিটার দুধ অবিক্রীত

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়ছে দেশের অর্থনীতি। প্রায় সবধরনের খাতেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বাদ পড়ছে না দুগ্ধ শিল্পও। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২০ থেকে ১৫০ লাখ লিটার দুধ অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫৭ কোটি টাকা। মাসিক হিসাবে প্রায় ১ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।

বুধবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেশের দুগ্ধ শিল্প রক্ষার আবেদন জানিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দাবি জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী ও দেশের দুগ্ধ প্রসেসর কোম্পানিগুলো সহযোগিতা না করলে দেশের গড়ে ওঠা প্রায় ৫০ ভাগ খামার অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ইমরান হোসেন বলেন, ‘গ্রামের একজন কৃষক গরুর দুধ বিক্রি করে প্রতিদিনকার নিজের খরচ ও তার গরুর জন্য খাবার কিনে আনে। ৭ দিন ধরে প্রান্তিক পর্যায়ের একজন খামারি দুধ বিক্রি করতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। খামারিদের কোথাও দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা কেজিতে। আবার কোথাও অনেকে বিক্রি করতে পারছে না।’

jagonews24

ইমরান হোসেন জানান, বাংলাদেশে দুগ্ধ প্রসেসর কোম্পানিগুলো দেশের মোট উৎপাদনের ৫ ভাগ দুধ প্রতিদিন সংগ্রহ করে, যার পরিমাণ ১৩ লাখ ৫৯ হাজার লিটার। বাকি ২ কোটি ২৮ লাখ ৩৬ হাজার লিটার অর্থাৎ, মোট উৎপাদনের প্রায় ৮৪ ভাগ দুধ বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে ও বাসা বাড়িতে বিক্রি করেন খামারিরা। বর্তমানে মিষ্টির দোকান সবই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং জনজীবনে নানা অস্থিরতার কারণে দুধ বিক্রি নিয়ে খামারিরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন।

এ অবস্থায় সরকার ও দেশের দুগ্ধ প্রসেসর কোম্পানিগুলো সহযোগিতায় এগিয়ে না আসলে দেশের দুগ্ধ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে বলেও মনে করে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে তিনটি বড় কোম্পানির প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করে গুঁড়া দুধ তৈরির সক্ষমতা আছে। পাশাপাশি আরও ১০ থেকে ১২টি কোম্পানির দুধ জাতীয় পণ্য যেমন ঘি, মাখন, ফ্লেভারড মিল্ক, আইসক্রিম, ক্রিম তৈরি করার সক্ষমতা আছে।’

এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পারলে আসন্ন রোজার মাসে দেশে দুধ ও দুধজাতীয় পণ্যের সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করে সংগঠনটি।

আপনার মতামত দিন :