করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এফসিপিএস পরীক্ষা পেছাবে: বিসিপিএস

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৮:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২০

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এফসিপিএস পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) অনারারি সচিব অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় এফসিপিএস পরীক্ষা পেছানো হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে শনিবার (২৮ মার্চ)  বিকেলে মেডিভয়েসকে এ কথা জানান তিনি।

বিসিপিএস অনারারি সচিব বলেন, ‘এফসিপিএস পরীক্ষা তো অনেক খানি প্রস্তুতির বিষয়। মডারেশন থেকে শুরু বিভিন্ন কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছিল। কাজগুলো বন্ধ হয়ে আছে। এর সম্পূর্ণটাই নির্ভর করবে আগামী পরিস্থিতির ওপর। পরিস্থিতি ভালো থাকলে পরীক্ষা হবে, না হয় পিছিয়ে দেওয়া হবে। ’

কোনো প্রতিবন্ধকতার কারণে কলেজের ৪৮ বছরের ইতিহাসে পরীক্ষা পেছানোর রেকর্ড নেই জানিয়ে অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ৭২ সনে বঙ্গবন্ধু এ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এর পর থেকে কখনো পরীক্ষা পেছানো হয়নি। হরতাল আন্দোলন যাই কিছু হোক না কেন— সকালে হরতাল থাকলে বিকেলে পরীক্ষা হয়েছে, বিকেলে থাকলে সন্ধ্যায় পরীক্ষা হয়েছে।

তবে এবারের পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় পরীক্ষা পেছানো লাগতে পারে বলে জানান বিসিপিএস সচিব।

তিনি বলেন, ‘যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে অবশ্যই পেছাতে হবে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে। যদি আল্লাহ সব কিছু ভালো রাখেন এবং আরও ভয়াবহ দুযোপূর্ণ পরিবেশ তৈরি না হয়, তাহলে আমরা যথাসময়ে পরীক্ষা নেবো। নতুবা পিছিয়ে দেবো।’

পরীক্ষা পেছানোর দাবি শিক্ষার্থীদের 

ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে অনেক চিকিৎসক স্বাস্থ্য সেবায় যুক্ত হয়ে যাওয়ায় নিয়মিত পড়াশোনা করতে পারছেন না। এ অবস্থায় অনেকে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন।

কোচিং সেন্টারে অধ্যয়নরত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ৮ম ব্যাচের ডা. মো. যোবায়ের মাহমুদ মেডিভয়েসকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে কারও মানসিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না। এ অবস্থায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়াটা অস্বাভাবিক বিষয়। অনেক চিকিৎসক করোনাভাইরাসের সেবা নিয়ে ব্যস্ত। অনেকে আবার কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন। এ অবস্থায় পরীক্ষাটা পিছিয়ে দিলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন।’

পরীক্ষা নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়ে একই মেডিকেল কলেজের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. ফারহাত রিজভান মেডিভয়েসকে বলেন, ‘রয়েল কলেজ অব লন্ডন যেহেতু তাদের পরীক্ষা পিছিয়েছে। সে হিসেবে অধিকতর প্রস্তুতির সুবিধার্থে বিসিপিএস যেন অন্তত এক-দুই মাস পরীক্ষাগুলো পিছিয়ে দেয়।’

এজন্য প্রয়োজনে বিসিপিএসের কাছে আবেদন করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

যা বললেন বিসিপিএস অনারারি সচিব

এ প্রসঙ্গে অনারারি সচিব অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমি কলেজের সেক্রেটারি। কিন্তু এ ব্যাপারে আমি সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না। যদি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৪০/৫০ জনের একটি দল স্বাক্ষরসহ কলেজের প্রেসিডেন্ট বরাবর আবেদন করে তখন কলেজের ইমার্জেন্সি কাউন্সিল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’

পরীক্ষার আরও অনেক সময় আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা তো মার্চ মাস; মাঝে এপ্রিল, মে, জুন আছে। এর পর জুলাইয়ের ১ তারিখে পরীক্ষা হবে। তবে পরীক্ষার্থীরা যদি চায় তাহলে আমার ধারণা নিশ্চয় কলেজ বিবেচনা করবে।’

আপনার মতামত দিন :