১৪ মাস পর চোখ মেলছেন নিবিড়, বাবা ডাক শোনার অপেক্ষায় কুমার বিশ্বজিৎ নিউজ নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:১৭ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২৪ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের পরিবারে হঠাৎ একটি দুর্ঘটনা যেন মুহূর্তেই সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দেয়। কানাডায় ঘটে যাওয়া সেই দুর্ঘটনায় ছেলে কুমার নিবিড় এতটাই মারাত্মকভাবে আহত হন যে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা শুধুই ভাগ্য ও স্বপ্নের মতো ছিলো। ১৪ মাস পর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা নিবিড় চোখ মেলে তাকিয়েছে, দেখেছে বাবা–মায়ের মুখ। এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকে জানান কুমার বিশ্বজিৎ। গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন নিবিড়। তার পর থেকেই বাবা-মা দুজনেরই ঠিকানা কানাডার সেই সেন্ট মাইকেল হাসপাতাল। দীর্ঘ ১৪ মাস কুমার বিশ্বজিৎ ছিলেন সংগীতমঞ্চের বাইরে। এর মধ্যে দু’বার তিনি দেশে এসেছেন। ছেলের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে কুমার বিশ্বজিৎ বললেন, শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। কিন্তু কবে যে পুরোপুরি সুস্থ হবে, তা বলা মুশকিল। এখনো হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আমি কানাডায় যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে রিহ্যাবে নেওয়া হবে। কুমার বিশ্বজিৎ জানান, নিবিড়ের মা অনেক কষ্ট করছে। সকালে হাসপাতালে আসা, এরপর রাতে আবার বাসায় যাওয়া, সব মিলিয়ে কঠিন সময় কাটছে। যদিও আমাদের আত্মীয়স্বজনও আছেন। তারাও হাসপাতালে বিভিন্ন সময় আসেন, নিবিড়ের দেখাশোনায় সময় দেন। ছেলের মুখ থেকে বাবা-মা ডাক শোনার জন্য তার দিকে তাকিয়ে থাকেন কুমার বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী নাঈমা সুলতানা। কবে নিবিড়ের কণ্ঠ থেকে শব্দ বেরুবে, তা এখই বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তারা চিকিৎসাবিদ্যার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যার ফলে এখন কিছুটা উন্নতির দিকে শারীরিক অবস্থা। কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, নিবিড়ের এক্সপ্রেশন দেখে মনে হয়, বাবা-মাকে চিনছে। আমাদের চেনে। অনেক সময় তাকানো, ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘোরা। এরপর যখন বলা হয়, বাবা আসছে, মা আসছে’, তখন বোঝা যায়, আমাদের চেনে। মা যখন বলে, আমাদের চিনতে পারো? তখন তার এক্সপ্রেশনে বুঝতে পারি, হয়তো চিনছে। অপেক্ষায় আছি কখন বাবা বলে ডাকবে। আপনার মতামত দিন : SHARES বিনোদন বিষয়: