টাঙ্গাইল মির্জাপুরে করোনা রোগী শনাক্ত, ঢাকায় স্থানান্তর Shakil Shakil Ahmed প্রকাশিত: ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২০ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে তাঁকে ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রমতে, শনাক্তকৃত ওই রোগী নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লিনিকে চাকরি করেন। গত রোববার তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে মির্জাপুরে গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ সময় তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁর করোনা শনাক্তের বিষয়টি জানতে পারেন উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মো. আবদুল মালেকের নেতৃত্বে চিকিৎসকসহ একটি প্রতিনিধি দল তাঁকে ঢাকায় পাঠায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাকসুদা খানম বলেন, তাঁর পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) রাখা হয়েছে। ইউএনও মো. আবদুল মালেক জানান, রোগীটির করোনা শনাক্তের পর তাঁকে ঢাকায় পাঠাতে রাতে তাঁরা ওই রোগীর বাড়ি যান। কিন্তু তিনি ঘরের দরজা খুলছিলেন না। কোনো কথাতেই কাজ হচ্ছিল না। তিনি বলতে থাকেন, অসুস্থ হয়ে মারা গেলেও তিনি বাড়িতেই থাকতে চান। তবে তাঁর পরিবার ও এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের সহায়তায়ে তাঁকে ঘর থেকে বাইরে বের করা হয়। পরে রাতে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। একই সঙ্গে তাঁর বাড়ির আশপাশের ৩০-৩৫টি বাড়ি লকডাউন (অবরুদ্ধ) করে দেওয়া হয়েছে। আপনার মতামত দিন : SHARES দেশজুড়ে বিষয়:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে তাঁকে ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রমতে, শনাক্তকৃত ওই রোগী নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লিনিকে চাকরি করেন। গত রোববার তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে মির্জাপুরে গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ সময় তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁর করোনা শনাক্তের বিষয়টি জানতে পারেন উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মো. আবদুল মালেকের নেতৃত্বে চিকিৎসকসহ একটি প্রতিনিধি দল তাঁকে ঢাকায় পাঠায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাকসুদা খানম বলেন, তাঁর পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) রাখা হয়েছে। ইউএনও মো. আবদুল মালেক জানান, রোগীটির করোনা শনাক্তের পর তাঁকে ঢাকায় পাঠাতে রাতে তাঁরা ওই রোগীর বাড়ি যান। কিন্তু তিনি ঘরের দরজা খুলছিলেন না। কোনো কথাতেই কাজ হচ্ছিল না। তিনি বলতে থাকেন, অসুস্থ হয়ে মারা গেলেও তিনি বাড়িতেই থাকতে চান। তবে তাঁর পরিবার ও এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের সহায়তায়ে তাঁকে ঘর থেকে বাইরে বের করা হয়। পরে রাতে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। একই সঙ্গে তাঁর বাড়ির আশপাশের ৩০-৩৫টি বাড়ি লকডাউন (অবরুদ্ধ) করে দেওয়া হয়েছে।