চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এলাকাজুড়ে তোলপাড়, জনমনে আতংক করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত পিপিই ও সরঞ্জাম ছড়িয়ে-ছিটিয়ে সিভিল সার্জন অফিসের পাশে Jewel Das Jewel Das Guptha প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০২০ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, পিপিই। সাথে রোগীদের উচ্ছিষ্ট খাবার। যা কাক ও কুকুর মিলেমিশে খাচ্ছে। এসব পিপিই, করোনাভাইরাস রোগীদের সেবা দেওয়া চিকিৎসকের। যদিও এটি পুড়ে ফেলার কথা ছিল। কিন্তু তা রাস্তায় ও ডাস্টবিনে পড়ে আছে এভাবেই।’ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের পাশে একটি ডাস্টবিনে চিকিৎসকদের পড়া পিপিই পড়ে থাকা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং রোগীদের খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ পড়ে থাকার কিছু ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। যা নিয়ে চট্টগ্রামজুড়ে চলছে তোলপাড়। কেননা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালটি করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট। এছাড়া ইতোমধ্যে এ হাসপাতালে দুজন করোনা রোগীও ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু তাদের চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারদের পরা পিপিইগুলো পুড়ে ফেলার কথা থাকলেও হাসপাতাল এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার আতঙ্ক বিরাজ করছে সবার মাঝে। হাসপাতালটির পাশেই জেলা সিভিল সার্জন এর অফিস। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এসব ছবি এবং একটি ভিডিও শেয়ার করে নার্গিস আক্তার নিরা নামে এক নারী লিখেছেন, ‘দৃশ্যটি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডের পার্শ্ববর্তী ডাস্টবিনের। অসংখ্য ব্যবহৃত পিপিই দেখা যাচ্ছে। যা পুড়িয়ে ফেলার কথা। তার সাথে ভর্তি আইসোলেটেড করোনা রোগীর উচ্ছিষ্ট খাবার যা কাক ও কুকুর মিলেমিশে খাচ্ছে। ভিডিওতে কুকরটাকে দেখে মনে হচ্ছে শ্বাসকষ্টে ভুগছে। প্লিজ আমরা যদি পরিবেশ কে জীবানুমক্ত রাখার চেষ্টা না করি, তবে শুধু ঘরে থেকেই করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হতে পারবো না। যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য অনুরোধ রইল।’ শুধু ওই নারীই নয়, মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরমধ্যে চিটাগাং লাইভ নামে একটি পেজে ছবিগুলো পোস্ট করে একই ভাষায় এসব লেখা হয়। ওই পোস্টে মানুষের একাধিক কমেন্ট করেন। এরমধ্যে মোহাম্মদ সেলিম নামে একজন লিখেন- ‘জেনারেল হাসপাতালে ঢুকার মুখে অনেকদিন থেকে এই দুরবস্থা, দেখার কেউ নেই। ’ দিপু চৌধুরী নামে একজন লিখেন- ‘কি যে বলবো, ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। যেখানে সিভিল সার্জন অফিস থেকে সবাইকে নিষেধ করে, সেখানে সিভিল সার্জন অফিসের পাশে এই অবস্থা’। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, ‘বিষয়টি আমি নিজেও ফেসবুকে দেখেছি। তবে আমি বলবো না, এটি মিথ্যে। মূলত একজনকে দায়িত্ব দেওয়া আছে, যিনি প্রতিদিন পিপিইসহ সংশ্লিষ্ট জিনিসগুলো পুড়ে ফেলেন। ওইদিনও এসব পুড়তে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেরোসিন তেল আনতে গিয়ে এসব ওখানে রেখে যান। এ সুযোগে কেউ একজন ছবিগুলো তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।’ যদি পিপিই পোড়া না হতো তাহালে এতদিন স্তূপ হয়ে যেতো উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘পিপিই গুলো প্রতিদিন আমরা পুড়ে ফেলি। তা না হলে এতদিন কতগুলো পিপিই পড়ে থাকতো। একটু চিন্তা করেন। এখন থেকে বিষয়টি আমি নজরে রেখেছি। ইতোমধ্যে এ বিষয় নিয়ে আরও একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যিনি নিজের উপস্থিতিতে এখন থেকে তা পুড়ে ফেলবেন।’ এসব বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির নজরে দিলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি হাসপাতাল কৃর্তপক্ষকে নজর দিতে বলা হয়েছে। যদি এমন হয়ে থাকে, তা মোটেও উচিত নয়।’ সুত্রঃ পূর্বকোণ আপনার মতামত দিন : SHARES দেশজুড়ে বিষয়: