চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা বেশি

Emon Emon

Chowdhury

প্রকাশিত: ৭:৩৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২০

সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরেছে। ইতোমধ্যে ১০১২+ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত! চট্টগ্রামেও ২০+ এর মতো আক্রান্ত হয়েছে। এই করোনা ভাইরাস মহামারিতে যেখানে সবাইকে নিরাপদে থাকার কথা বলা হয়েছে সেখানে মানুষ এখনো নিরাপদে থাকছেনা। অনেক মানুষ গুজব ও কুসংস্কারে আবদ্ধ।

– “ধুর! আমাদের এখানে করোনা ভাইরাস আসবেইনা।”-

যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, ততক্ষণ না পর্যন্ত তারা করোনা ভাইরাসের মহামারি উপলব্ধি করতে পারবেনা। তাই জনসাধারণ এখনো পর্যন্ত উন্মুক্ত ভাবে ঘুরছে, ছুটাছুটি করছে, সব করছে। এটা গেল জনসাধারণের কথা।

এবার আসি প্রশাসনের কাছে। প্রশাসন ঠিক করে দিলো সকাল ৬ টা থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত দোকান-পার্ট খোলা থাকবে। ঐ সময়ের মধ্যে সকলে তাদের যাবতীয় কেনাকাটা করতে পারবে। এটা কি ঠিক করেছে প্রশাসন? এই ৫ ঘণ্টা করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য উপযুক্ত সময়। কারণ এই সল্প সময়ের মধ্যে মানুষ কেনাকাটা করার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছে। আজ সরেজমিনে দেখতে পেলাম প্রত্যেক দোকানে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। তারা মানছেনা সামাজিক দুরত্ব। ৮০% মানুষের নেই পিপিই। প্রশাসন সময় বেঁধে দেওয়ার আগে সব নরমাল ছিলো। এত মানুষের ভীড় ছিলোনা। সবাই যে যার মতো সময় করে বাজারে এসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করে চলে যেত। তখন এরকম জটলা তৈরি হতোনা। করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কাও কম ছিলো। আর এখন? করোনা ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনার হার বেশি। কারণ প্রত্যেক বাজারে একি সময়ে জনসমাগম বেশি হচ্ছে। এটা প্রশাসন কি বুঝতে পারছেনা? এরকম চলতে থাকলে করোনা ভাইরাসের রোগী থেকে জীবাণু খুব সহজেই সাধারণ মানুষের কাছে ছড়িয়ে পরবে। করোনা ভাইরাস বাতাসে বাতাসে ঘুরবে। হয়ে ওঠবে বিপদজনক!

তাই সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আপনারা ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য ঘরে থাকার কোনো বিকল্প নেই। এত উৎসুক না হয়ে সাধারণ ভাবে জীবনযাপন করুন। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে সব করতে পারবেন।

প্রশাসনকে বলছি, সময় বেঁধে দিয়ে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করা যায়না। কারণ, আমরা বাঙ্গালি জাতি এখনো প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ওঠতে পারিনি, কিন্তু গুজব ও কুসংস্কার রটানো ও প্রচার করতে ভালোই পারি। তাই, এখনো সময় আছে করোনা ভাইরাস থেকে সকলকে রক্ষা করতে লক ডাউনের কোনো বিকল্প নেই।

“ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।”

লেখক :
আশীষ শীল শ্রাবণ
সহ-সম্পাদক
মেডিনিউজবিডি.কম।

আপনার মতামত দিন :